বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ সীমানায় অনুপ্রবেশকারী আটক ১৭৮ জন ভারতীয় জেলে জামিনে মুক্তি পেয়েছে। মালিকের জিম্মায় দেয়া হয়েছে আটক ভারতীয় ১৪টি ফিশিং ট্রলারও। বাগেরহাট আদালত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বুধবার সকালে জেলেরা মংলা থানায় আটক ট্রলারসহ তাদের মালামাল বুঝে নেন। ভারতীয় হাই কমিশনের দুই প্রতিনিধিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাগেরহাটের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ মঙ্গলবার তাদের মুক্তি দেন।মংলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান জাগো নিউজকে জানান, বঙ্গোসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়ার অদূরে গভীর সমুদ্রে দেশীয় সীমানায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করছিলেন ভারতীয় জেলেরা। এসময় অবৈধ অনুপ্রবেশ ও মাছ শিকারের অভিযোগে ১শ` ৭৮ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে নৌবাহিনীর সদস্যরা। একই সঙ্গে মাছসহ হাই পাওয়ারের ১৪টি ভারতীয় ফিশিং ট্রলারও আটক করা হয়। এ বিষয়ে বা নৌ জা মেঘনা ও কর্ণফুলির পেটি অফিসার বাদী হয়ে মংলা থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়েরে করেন। পরে আটক জেলেদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়। দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস ধরে জেলেরা বাগেরহাট জেলা কারাগারে থাকে। এরপর ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে এ বিষয়ে জোর তদবির চালিয়ে যান এ সমস্ত ফিশিং ট্রলার মালিকরা। এক পর্যায়ে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি দলের প্রধান ফাস্ট সিকিউরিটি অফিসার রমাকান্ত গোপ্তাসহ দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল আদালতের মাধ্যমে পুলিশের জিম্মায় থাকা ১৪টি ফিশিং ট্রলার ও জেলেদের মালামাল বুধবার সকাল সাড়ে ১২টার দিকে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে নেন। এছাড়া গত ৩০ সেপ্টম্বর আটটি ট্রলারসহ ১০৪ জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে। এরমধ্যে এমভি সত্য নারয়ন ফিশিং ট্রলারে থাকা সঞ্জয় সামান্ত নামের এক জেলে রাতে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। থানা পুলিশের মাধ্যমে মৃত ওই জেলের মরদেহ খুলনা হিমাগারে রাখা হয়। বুধবার সকালে তার মরদেহ খুলনা থেকে গ্রহণ করেন ভারতীয় হাই কমিশনের প্রতিনিধি দল। গত ২৫ আগস্ট, ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর ৩ দফায় ১৪টি ট্রলারসহ ১৭৮ জেলেকে আটক করে মংলা নৌ-বাহিনীর সদস্যরা। এ ব্যাপারে ভারতীয় ফিশিং ট্রলার মালিক শ্রী অরবিন্দ দাশ জাগো নিউজকে জানান, সাগরে দেশীয় কোনো সীমানা না থাকায় ভুল করে তারা বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে পড়েন। আর তার কারণেই সাড়ে তিন মাস জেলে কাটাতে হলো তাদের। এছাড়াও কয়েক কোটি টাকার লোকসানের মুখে পড়তে হবে এই ভারতীয় জেলেদের।আলমগীর হান্নান/এমজেড/এমএস
Advertisement