ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পরই বিশ্ববাজারে তেলের দামে অস্থিরতা দেখা যায়। বিশেষ করে রাশিয়ান তেলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর লাফিয়ে বাড়ে গুরুত্বপূর্ণ এ পণ্যটির দাম। কয়েক দফা বাড়ার পর সপ্তাহের শুরুতে তেলের দাম ১০০ ডলারের নিচে নেমে যায়। যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ না থাকায় ও সরবরাহ সংকটে আবার লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে এটির দাম। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) তেলের দাম ফের ১০০ ডলার ছাড়িয়েছে।
Advertisement
জানা গেছে, সপ্তাহের শুরুতে তেলের দাম কমে ব্যারেল প্রতি ৯৪ ডলারে দাঁড়ায়। এখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রুডের দাম আট শতাংশ বেড়ে ১০২ দশমিক ৯৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম নয় শতাংশ বেড়ে ১০৬ দশমিক ৬৪ ডলার হয়েছে।
জ্বালানি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন এখনো কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি। এ কারণে সব ক্ষেত্রেই হতাশা বাড়ছে। সম্প্রতি তেলের দাম কমার অন্যতম কারণ ছিল দেশ দুইটির মধ্যে যুদ্ধ বিরতির সম্ভাবনা। কিন্তু যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে রাশিয়ার তেলের সরবরাহ কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে গত ৭ মার্চ বিশ্ববাজারে ব্রেন্টের দাম উঠেছিল ১৩৯ দশমিক ১৩ ডলার, যা গত ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ওই সময় ডব্লিউটিআই’র দাম উঠেছিল ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ ১৩০ দশমিক ৫০ ডলারে।
Advertisement
ইউক্রেন আক্রমণের জেরে যু্ক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি রাশিয়ার তেল, গ্যাস, কয়লা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে এই পদক্ষেপে আর কোনো মিত্রকে এখন পর্যন্ত পাশে পায়নি ওয়াশিংটন। ইউরোপীয় মিত্ররা জানিয়েছে, তারা এখনই রুশ জ্বালানি আমদানি বন্ধ করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রের আরেক মিত্র ভারত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে রাশিয়া থেকে ডিসকাউন্ট মূল্যে তেল কেনার চিন্তা করছে।
পুরোনো বন্ধু সৌদি আরবও সাম্প্রতিক সংকটে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দূরত্ব রাখছে। সৌদি যুবরাজের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ফোনে কথা বলিয়ে দিতে একাধিকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে হোয়াইট হাউজ। একই ঘটনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজের ক্ষেত্রেও। রুশ তেলের বিকল্প খুঁজতে যুক্তরাষ্ট্র এখন শত্রুভাবাপন্ন ভেনেজুয়েলার দ্বারে ঘুরছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
এমএসএম/এমএস
Advertisement