একুশে বইমেলা

ভাঙছে প্রাণের বইমেলা, মন খারাপ বিক্রেতাদের

অমর একুশে বইমেলার পর্দা নামছে আজ। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাত ৯টায় শেষ হবে মেলা। সাঙ্গ হবে লেখক, প্রকাশক, কবি, সাহিত্যিক ও বইপিপাসু ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মিলনমেলা। আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষার দীর্ঘ প্রহর গুনতে হবে।

Advertisement

শেষদিনে আজ বেলা ১১টা থেকে শুরু হয় বইমেলা। তবে সকাল ১০টা থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঠক-ক্রেতারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বাংলা একাডেমি ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে থাকেন। দুপুর গড়াতেই বাড়তে থাকে ক্রেতা।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত কারণে অমর একুশে বইমেলা এবার কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ৩৮তম বইমেলার উদ্বোধন করেন।

প্রথমে অমর একুশে বইমেলা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছিল বাংলা একাডেমি। পরে মেলার সময়সীমা বাড়িয়ে ১৭ মার্চ করা হয়। এবারের মেলায় তিন হাজারেরও বেশি নতুন বই এসেছে। প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই কবিতার বই।

Advertisement

বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও শাহবাগ এলাকা দিয়ে বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ ও শিশুরা বইমেলা প্রাঙ্গণে যাচ্ছেন। পুলিশি প্রহরায় প্রত্যেকে মুখে মাস্ক পরে মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করছেন। বিভিন্ন স্টলের সামনে টুকটাক কেনাবেচাও হচ্ছে।

বিক্রেতারা জানান, আজ শেষ দিন হওয়ায় বিকেলের দিকে ক্রেতা-পাঠকদের ভিড় বাড়বে। তখন বেচাকেনাও হয়তো বাড়বে। সকাল থেকে যারা আসছেন, তাদের অধিকাংশই বই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্যান্য দিনের মতো মেলায় শুধু ঘোরাঘুরি করা অর্থাৎ দর্শনার্থীর সংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম।

এদিকে মেলার শেষ দিনে মন খারাপ বিভিন্ন স্টলের বিক্রেতা, বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণ-তরুণীদের।

একটি স্টলের বিক্রেতা জাগো নিউজকে বলেন, ‘এক মাস পরিচিত-অপরিচিত ক্রেতাদের কাছে বই বিক্রির পাশাপাশি গল্প ও আড্ডায় ভালো সময় কেটেছে। এমন আড্ডা-গল্পের প্রহর পেতে একটি বছর অপেক্ষা করতে হবে। সবমিলিয়ে ভীষণ মন খারাপ।’

Advertisement

এমইউ/এএএইচ/জেআইএম