জাতীয়

চা বাগানের জমিতে ইকোনোমিক জোন : রুখে দাঁড়ানোর আহবান

চা বাগানের কৃষি জমিতে ‘স্পেশাল ইকোনোমিক জোন’ গড়ে তোলার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আহবান জানিয়েছেন দেশের সাংসদ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শ্রমিক নেতা, গবেষকসহ বিশিষ্টজনরা। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে চান্দপুর-বেগমখান ভূমি রক্ষা কমিটি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ আহবান জানানো হয়।মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, “কোথাও বড়লোকদের জমি দখল করে ইকোনোমিক জোন বা শিল্প কারখানা তৈরি করতে দেখা যায়নি। সব সময় গরীব মেহনতি মানুষদের বেঁচে থাকার সম্বল জমির উপরই সরকারের নজর পড়ে।” -এর বিরুদ্ধে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি।সুযোগ থাকলে ইকোনামিক জোন হাজারটা, না থাকলে ১০টা হবে মন্তব্য করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, “সবার আগে ফুড সিকিউরিটি। কৃষি জমি দখল করে ১শ’ ইকোনোমিক জোন আমরা চাই না।”গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভের (আরডিসি) সাধারণ সম্পাদক জান্নাত-এ ফেরদৌসী বলেন, “অনেক চা শ্রমিক মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিলেও এখনো কোনো চা শ্রমিকের সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধের কোটায় চাকরি হয়নি। আমরা প্রান্তিক মানুষদের সম্মান তো জানাই।”সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, “ইকোনোমিক জোন করতে হলে সরকার খাস জমিতে করুক। কিন্তু কৃষি জমি ধ্বংস করে ইকোনোমিক জোন করতে হবে কেন?”হবিগঞ্জের চান্দপুর-বেগমখান চা বাগানের শ্রমিক নেতা সাধন সরকার বলেন, “জমি নিতে চাইলে আমাদেরকে গুলি করে মেরে ফেলেন, বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেন। এই মাটি আমার মা, কেড়ে নিতে দিব না। শরীরে শেষ রক্তবিন্দু থাকতে কিছুতেই জমি কেড়ে নিতে দেওয়া হবে না।”মত বিনিময় সভায় আলোচকরা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময় বলতেন দুখি মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে না পারলে দেশের মুক্তিযুদ্ধই ব্যর্থ। কিন্তু এই মহাজোটের আমলে চা শ্রমিকরা বঞ্চিত হচ্ছে। তারা বঞ্চিতের উপর বঞ্চিত। চা শ্রমিকদের রক্তের উপর দিয়ে আমরা উন্নয়ন করি।মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন আয়োজক সংগঠনের আহবায়ক অভিরত বাকতি, যুগ্ম আহবায়ক স্বপন সাঁওতাল, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য প্রমুখ।এএস/আরএস/এমএস

Advertisement