সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কসহ হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে তিনটি সড়কে প্রায় ৩০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীসহ পণ্যবাহী ট্রাকের চালকরা। এদিকে, যানজটের কারণে বিকল্প রাস্তা হিসেবে শহরের ভেতর দিয়ে যানবাহন ঢুকে পড়ায় বিপাকে স্থানীয় বাসিন্দারাও।
Advertisement
জানা গেছে, বুধবার (১৬ মার্চ) বিকেল পর্যন্ত মহাসড়কের সায়দাবাদ থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার যানজট থাকলেও সন্ধ্যার পর যানবাহনের চাপ বেশি হওয়া তা আরও বাড়ে। যে কারণে দিনভর থেমে থেমে যানজট থাকলেও সন্ধ্যার পর তা তীব্র আকার ধারণ করে। এছাড়া হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে ভূঁইয়াগাঁতী ও হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে রাজশাহী রুটের নাঈমুড়ি বাজার পর্যন্ত উভয়পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
নওগাঁ থেকে ছেড়ে আসা এসআই এন্টারপ্রাইজ বাসের চালক মো. স্বাধীন বলেন, ‘আমি নওগাঁ থেকে প্রতিদিন চট্টগ্রাম চলাচল করি। বিকেলে নওগাঁ থেকে বাস ছেড়ে রাস্তায় কোনো যানজট পাইনি। তবে সিরাজগঞ্জের সাহেবগঞ্জ এসে তীব্র যানজটের কারণে দাঁড়িয়ে পড়লাম। আধঘণ্টার রাস্তা পার হতে তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে।
রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, রংপুর থেকে কাঁচামাল লোড করে ঢাকার দিকে যাচ্ছি। কিন্তু চান্দাই কোন এসে যানজটের কবলে পড়ি। তিনি আরও বলেন, সময়মতো ঢাকায় পৌঁছাতে না পারলে ট্রাকে থাকা কাঁচামাল নষ্ট হয়ে যাবে।
Advertisement
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. রফিকুল ইসলাম যানজটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত থেমে থেমে যানজট থাকলেও সন্ধ্যার পর তা ছড়িয়ে পড়ে। হাটিকুমরুল থেকে তিনটি সড়কে যানবাহন সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নলকা ব্রিজের পূর্বপাশে চার লেনের কাজ চলছে। ফলে ঢাকামুখী একটি লেন বন্ধ থাকায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সংস্কারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই যানজট দূর করা অসম্ভব। তবে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও নিরাপদ রাখতে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।
এমআরআর/জিকেএস
Advertisement