জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবিলম্বে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা)। সংগঠনটি জানিয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর এক লাখ ৬১ হাজার মানুষ তামাকজনিত রোগে মারা যায়। এছাড়া তামাক সেবনে প্রতি বছর পঙ্গুত্ব বরণ করে আরও কয়েক লাখ মানুষ। বুধবার (১৬ মার্চ) আত্মা’র এক ভার্চুয়াল সভায় জানানো হয় এসব তথ্য।
Advertisement
সভায় বলা হয়, এখনও দেশে প্রায় চার কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তাই সংশোধনীর মাধ্যমে বর্তমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি যুগোপযোগী করার দাবি জানান সভায় অংশ নেওয়া অতিথিরা।
এসময় বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্তকরণসহ সব পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও গণপরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ করা, শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা, দোকানে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি বা সিএসআর কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা, বিড়ি-সিগারেটের খুচরা শলাকা ও প্যাকেটবিহীন জর্দা-গুল বিক্রি নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসসহ (এইচটিপি) সব ইমার্জিং টোব্যাকো পণ্য আমদানি ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বাড়ানোসহ তামাকপণ্য মোড়কজাতকরণে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আত্মা’র যুগ্ম আহ্বায়ক নাদিরা কিরন। ৪০ সদস্যের উপস্থিতিতে অনলাইনে আত্মার কার্যক্রম তুলে ধরেন আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক মিজান চৌধুরী।
Advertisement
আলোচনায় অংশ নেন দেশ টিভির সম্পাদক সুকান্ত গুপ্ত অলক। অতিথি আলোচক হিসেবে ছিলেন- ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের (সিটিএফকে) বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আত্মা’র আহ্বায়ক মর্তুজা হায়দার লিটন, প্রগতির জন্য জ্ঞানের (প্রজ্ঞা) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের ও হাসান শাহরিয়ার প্রমুখ।
এমওএস/এমপি/জেডএইচ/এএসএম