ক্রিস গেইলকে নিয়ে বিতর্কের পর বিতর্ক। বিষয়টা এবার আর অক্রিকেটীয় নয়, পুরোদস্তুর ক্রিকেটীয়। তবে এ রকম ঘটনা আগেও ঘটিয়েছেন ক্যারিবিয়ান তারকা। কী এমন করলেন যে, নতুন করে বিতর্কে জড়াতে হলো?মঙ্গলবার বিগব্যাশের ম্যাচে রান নেওয়ার সুযোগ থাকলেও তা না নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ম্যাচ চলছিল, গেইলের মেলবোর্ন রেনেগাডসের সঙ্গে সিডনি থান্ডার্সের। গেইল একটি বল মারলে যত দূরে যায়, তাতে একটা রান নেওয়া যেত হেসেখেলেই। কিন্তু গেইল তার ওপেনিং পার্টনার টম কুপারকে রান নিতে গেলে ফেরত পাঠিয়ে দেন। গেইলের এমন কাণ্ড দেখে টিভি ধারাভাষ্যকাররা তখনই সমালোচনা শুরু করেন। সাধারণত, এভাবে রান না নিয়ে নিজেই বল ফেস করার প্রবণতা দেখা যায়, উল্টো দিকে টেল এন্ডাররা থাকলে; কিন্তু ওপেনিং জুটিতেই এরকম কাজ করায়, নিন্দা শুরু হয়ে যায় গেইলের। সাবেক অসি অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের কথায়, ‘এটা অবিশ্বাস্য। আমার দেখা জঘন্য ক্রিকেট।’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন, ‘মাঝেমাঝে ক্রিকেটে এবং জীবনে এমন কিছু হয়, যেটা প্রাপ্য। গেইলের ক্ষেত্রেও সেটা হয়েছে। যা প্রাপ্য ছিল সেটাই হয়েছে। সাইডলাইনে তার যে সতীর্থরা বসে আছে, তাদের কাছে এটা কী ধরনের বার্তা বয়ে আনছে ?’ পন্টিংয়ের এটা বলার কারণ, রান না নিয়ে ক্রিজে থেকে গিয়ে পরের যে বলটা তিনি খেললেন, তাতেই আউট হয়ে যান গেইল। ক্লিন্ট ম্যাককের বলে ফাওয়াদ আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে যখন গেইল ফিরলেন, তখন তার নামের পাশে ২০ বলে ২৮ রান লেখা।ক্যামেরন হোয়াইট ও ডোয়াইন ব্র্যাভোর সৌজন্যে ম্যাচটা অবশ্য গেইলের দলই জেতে পাঁচ উইকেটে; কিন্তু তাতেও গেইলের নিন্দা কমছে না। এবারের বিগ ব্যাশ গেইলের জন্য মোটেই সুখের নয়। নেটওয়ার্ক টেনের রিপোর্টার মেল ম্যাকলাফলিনকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় থেকে শুরু হয়েছে বিতর্ক।ম্যাচ চলাকালীন সবার সামনে মাইকে ম্যাকলাফলিনকে ডেটিংয়ের প্রস্তাব দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন গেইল। তা নিয়ে ক্ষমাও চাননি। অজি সাংবাদিকরা এ নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ তার ওপর। তার ৭০০০ আমেরিকান ডলার জরিমানাও হয়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান জেমস সাদারল্যান্ড গেইলের সমালোচনা করে বলেছিলেন, কারও এ রকম ঘটনার মুখোমুখি হওয়া উচিত নয়৷ এই সব কারণে আগামী বছর বিগ ব্যাশে গেইলের খেলা নিয়ে সংশয় আছে৷ যত বিতর্কই থাক, টুইটারে এ দিনও পার্টির মেজাজে ছবি পোস্ট গেইলের। আইএইচএস/পিআর
Advertisement