‘বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পর চলমান বাণিজ্য-সুবিধা অব্যাহত রাখতে চায় জাপান। এ জন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) অথবা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সম্পাদন এবং উভয় দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে একটি যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করা যেতে পাবে।’
Advertisement
বুধবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ -জাপান পার্টনারশিপ ফর দ্যা নেক্সট ডেভেলপমেন্ট জার্নি’ শীর্ষক এক সংলাপে অংশ নিয়ে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
ইতো নাওকি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে জাপান। বাংলাদেশের সব থেকে বড় উন্নয়ন সহযোগী জাপান। এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে এফটিএ করতে আগ্রহী। দু’দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটা ওয়ার্কিং কমিটি করা হবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে জাপান। এলডিসি থেকে বের হওয়ার পরও বাংলাদেশকে দেওয়া বাণিজ্য-সুবিধা অব্যাহত রাখার চিন্তা করছে জাপান।
এম এ মান্নান বলেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু দেশ। জাপানকে সবসময় উচ্চ মর্যাদা দিয়ে থাকে সরকার। জাপান এশিয়ার বড় অর্থনৈতিক শক্তি। আমরা এটাকে কাজে লাগাতে চায়। একবার জাপানের এক প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এসে শীতলক্ষ্যা নদী দেখেছিলেন। শীতলক্ষ্যা নদীতে সরু সেতু দেখে তিনি কষ্ট পেয়েছিলেন। এর পরে শীতলক্ষ্যায় প্রশস্ত সেতু নির্মাণ করার নির্দেশ দেন তিনি।
Advertisement
এফটিএ চুক্তি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কেউ বাংলাদেশের সঙ্গে এফটিএ চুক্তি করতে তেমন আগ্রহ দেখায় না। তবে জাপান নিজেই এফটিএ’র আগ্রহ প্রকাশ করেছে।বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে সংলাপে অংশ নেন সিপিডি চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান প্রমুখ।
এমওএস/এমএএইচ/এএসএম
Advertisement