করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস পর বুস্টার ডোজ দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
Advertisement
তিনি বলেন, আমরা সবাই জানতাম করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার ছয় মাস পর বুস্টার ডোজ নেওয়ার কথা। কিন্তু এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ছয় মাস নয়, চার মাস হলেই বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে।
বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুর ১২টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ২৬তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগে বুস্টার ডোজ দেওয়ার সময়সীমা ছিল ছয় মাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা সময়সীমা কমিয়ে এনেছি। এরই মধ্যে যারা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, আমরা তাদের বলবো- চার মাস বা তার বেশি সময় পার হয়ে গেলে, তারা যেন টিকা কেন্দ্রে গিয়ে বুস্টার ডোজ নেন।
Advertisement
জাহেদ মালেক বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন (১৭ মার্চ) উপলক্ষে বিশেষ ক্যাম্পেইন হাতে নেওয়া হচ্ছে। ১৭ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৩ কোটি ২৫ লাখ টিকার ডোজ দেওয়া হবে। এরই মধ্যে দুই কোটি ডোজ দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে। বাকিটা প্রথম ও বুস্টার ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে।
শিশুদের টিকার আওতায় আনা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা পেলেই ১২ বছরের নিচে বয়সীদের টিকা দেওয়া শুরু করবে।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর প্রমুখ।
গত বছরের ডিসেম্বরে যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি ও চিকিৎসক-নার্স, পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিকসহ সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধাদের করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছিল। পরে ১৭ জানুয়ারি বয়স সীমা কমিয়ে ৫০ বছর করা হয়। জানুয়ারির শেষে তা আরও কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়।
Advertisement
আরএডি/জেআইএম