করোনায় ২০২০ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশে বাড়তি চার লাখ ১৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল দ্য ল্যানসেটের প্রকাশিত এমন প্রতিবেদনকে উদ্ভট বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
Advertisement
বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ২৬তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে অবহিতকরণ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। গত বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে ল্যানসেট।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো মৃত্যু কিন্তু লুকানো যায় না। সবই রেকর্ডেড বাংলাদেশে। যেখানে এত ঘনবসতি সেখানে এত মৃত্যু কেউ লুকাতে পারবে না। কাজেই এটা কেউ যদি বলে এটা তার কথা। উদ্ভট কথা হলে এই বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নাই। এই বিষয়ে আমরা একটা রিজেন্ডার দিয়ে দিচ্ছি।
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক গবেষণায় জার্নালটি জানিয়েছে, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই বছরে বাংলাদেশে করোনায় মোট মারা গেছেন চার লাখ ১৩ হাজার জন। কিন্তু সরকারি হিসাবে এ সংখ্যা দেখানো হয়েছে ২৮ হাজার ১০০ জন।
Advertisement
দ্বিতীয় ডোজের ৪ মাস পরই নেওয়া যাবে বুস্টার
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বুস্টার ডোজ কর্মসূচির শুরুর দিকে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পর দেওয়া হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এখন ছয় মাস নয় চার মাস পরই বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে। যে কারণে আমরাও এখন চার মাস পর বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছি।’
তিনি বলেন, দ্বিতীয় ডোজের পর চার মাস হলে এসএমএস যাবে। কেউ যদি এসএমএস না পায়, তার চার মাস হলে তাকে বুস্টার ডোজ দিয়ে দেওয়া হবে।
এ পর্যন্ত ২২ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই মাসে তিন কোটি ডোজ দেওয়া সম্পন্ন হলে সাড়ে ১২ কোটি মানুষ টিকার আওতায় চলে আসবে। মোট জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ মানুষের দ্বিতীয় ডোজের আওতায় চলে আসবে। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার চার মাস অতিবাহিত হয়েছে এমন ব্যক্তিদের আহ্বান করবো আপনারা করোনার টিকা নিতে আসেন।
Advertisement
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেলে দেশে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু হবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়া শতভাগ শিক্ষক টিকার আওতায় এসেছে বলে জানান তিনি।
সভায় জানানো হয়, আগামী ২০ মার্চ থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে ২৬তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পালিত হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশিদ আলম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহমেদুল কবীর প্রমুখ।
এসএম/বিএ/জেআইএম