দেশজুড়ে

বরগুনায় হাদিসুরের জানাজা সম্পন্ন

ইউক্রেনে রকেট হামলায় নিহত ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান আরিফের (৩৩) জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় হাদিসুরের স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকাল দশটায় বাড়ির পাশের মাঠে হাদিসুরের জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে তাকে বাড়ির সামনে মসজিদের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

জানাজায় উপস্থিত ছিলেন- বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বেতাগী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুহৃদ সালেহীন, উপজেলা চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকানসহ নৌ মন্ত্রণালয়, র্যাব ও পুলিশের কর্মকর্তারা।

এর আগে সোমবার দুপুরে তার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে করে রোমানিয়া থেকে হাদিসুর রহমানের মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছায়। এরপর বিমানবন্দর থেকে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাত পৌনে ১০টায় মরদেহবাহী ফ্রিজার ভ্যানে করে তার কফিনবন্দি মরদেহ পৌঁছায় নিজ বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে।

Advertisement

চলতি মাসের ২ তারিখে ইউক্রেনে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান নিহত হন। ৩ মার্চ অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে ২৮ নাবিককে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের নিরাপদ বাঙ্কারে রাখা হয়। সেখান থেকে তাদের প্রথমে মলদোভা, পরে রোমানিয়া নিয়ে আসা হয়।

গত ৯ মার্চ ২৮ নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। ইউক্রেন থেকে ২৮ নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হলেও তখন হাদিসুর রহমানের মরদেহ আনা সম্ভব হয়নি। তার মরদেহ ইউক্রেনে ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছিল।

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে ২৮ জন নাবিক নিয়ে আটকা পড়েছিল ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের এই জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছায়। জাহাজটি ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল।

এফএ/জিকেএস

Advertisement