বারবার ভাঙছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নে টেংরিপাড়া গ্রামে নয়নদী শাখা খালের ওপর নির্মিত বেইলি ব্রিজের পাটাতন। একাধিকবার ব্রিজটি মেরামত করা হলেও কাজে আসছে না। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও যান চালকদের। স্থানীয়দের অভিযোগ, অতিরিক্ত ওজনের ভারী যানবাহন চলাচল ও মেরামত টেকসই না হওয়ার এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সর্বশেষ রোববার (১৩ মার্চ) সেতুটির পাটাতন ভেঙে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরআগে ৮ মার্চ পাটাতন ভেঙে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া গত বছরের ২৩ আগস্ট পারাপারের সময় পাটাতন ভেঙে ব্রিজের মাঝেই আটকে ছিল বালুভর্তি ট্রাক। ১৭ সেপ্টেম্বর আবার ওই ব্রিজেই দুর্ঘটনা ঘটে। এরপরও দায়সারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এ
ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক সড়কের শতশত যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে। বর্তমানে যাতায়াতকারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, ২০১৩ সালে ধলেশ্বরী সেতু চালু হওয়ার পর এ সড়ক ব্যবহার বেড়ে যায় কয়েক গুণ। ফলে টাঙ্গাইল থেকে আরিচা ও পাটুরিয়া ঘাটে যেতে ফেরি পারাপারের বিড়ম্বনা দূর হয়। একইসঙ্গে ঢাকার নবীনগর, ধামরাই, মানিকগঞ্জ হয়ে দীর্ঘপথ যাত্রার সমাপ্তি ঘটে। এতে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসে।
Advertisement
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মালবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস এ সড়ক ব্যবহার করে টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুরসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করে। এছাড়া পদ্মার ওপারের রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ, নড়াইলসহ কয়েকটি জেলায় চলাচলের পথ সুগম হয়। অপরদিকে প্রতিদিন কয়েকশ’ সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ক্ষুদ্র যানবাহনগুলো টাঙ্গাইল-আরিচা-পাটুরিয়া এলাকায় চলাচল করে।
ভাদ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, এ এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ এটি। টাঙ্গাইল থেকে মানিকগঞ্জ যাওয়ার প্রধান সড়কও এটি। অনেক সময় খুলনাসহ দক্ষিণবঙ্গের যানবাহন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। বর্তমানে আমরা কঠিন ভোগান্তির মধ্যে আছি। কয়েকদিন পরপর ব্রিজটি নষ্ট হয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকছে। এর স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।
এ বিষয়ে সোমবার (১৪ মার্চ) টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলামিন জাগো নিউজকে বলেন, বেইলি ব্রিজটির মেরামত কাজ চলছে। আশা করি আজকেই যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সেতুটি অনেক পুরাতন এবং অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন চলাচল করায় বারবার সমস্যা হচ্ছে।
আরিফ উর রহমান টগর/এসজে/জেআইএম
Advertisement