রাজধানীসহ সারাদেশে টানা চার সপ্তাহ ধরে করোনার সব সূচকে (নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত, সুস্থ রোগী ও মৃত্যু) নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। সবশেষ সপ্তাহে (৭ থেকে ১৩ মার্চ) তার আগের সপ্তাহের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা ২৬ দশমিক ২ শতাংশ, শনাক্ত ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ, সুস্থতা ৫২ দশমিক ১ শতাংশ এবং মৃত্যু ৫০ শতাংশ কমেছে। এর আগের সপ্তাহে (২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ) নমুনা পরীক্ষা ১০ দশমিক ৫ শতাংশ, শনাক্ত ৫১ দশমিক ২ শতাংশ, সুস্থতা ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ এবং মৃত্যু ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পায়।
Advertisement
তার আগের সপ্তাহে (২১ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি) নমুনা পরীক্ষা ২১ দশমিক ৫ শতাংশ, শনাক্ত ৬০ দশমিক ৩ শতাংশ, সুস্থতা ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং মৃত্যু ৫৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমে। এর আগে ১৪ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে নমুনা পরীক্ষা ২০ দশমিক ৪ শতাংশ, শনাক্ত ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ, সুস্থতা শূন্য দশমিক ২ শতাংশ এবং মৃত্যু ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পায়।
সোমবার (১৪ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এপিডেমিওলজিক্যাল ১০ম সপ্তাহে (৬ থেকে ১৩ মার্চ) এক লাখ ১০ হাজার ৭৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে দুই হাজার ২২০ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হন। একই সময়ে ১৭ হাজার ৫৪৮ জন সুস্থ এবং ২৬ জন মারা যান।
Advertisement
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত সময়ে এক লাখ ৫০ হাজার ২০৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে চার হাজার ৫৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। একই সময়ে ৩৬ হাজার ৬৪৯ জন সুস্থ এবং ৫২ জনের মৃত্যু হয়।
এপিডেমিওলজিক্যাল ৮ম সপ্তাহে (২১ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি) এক লাখ ৬৭ হাজার ৮৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯ হাজার ৩৮৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। একই সময়ে ৫২ হাজার ১০৫ জন সুস্থ এবং ৬৮ জনের মৃত্যু হয়।
এর আগের সপ্তাহে (১৪ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি) দুই লাখ ১৩ হাজার ৭৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ হাজার ৬২৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। একই সময়ে ৭৫ হাজার ৯২৯ জন সুস্থ এবং ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে রাজধানীসহ সারাদেশে ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনা আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি পুরুষ এবং সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১১২ জনে।
Advertisement
একই সময়ে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষায় নতুন ২৩৯ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার এক দশমিক শূন্য ৭৫ শতাংশ।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৮৭৮টি ল্যাবরেটরিতে ১৩ হাজার ৬৩৫টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৩ হাজার ৬৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৯ হাজার ৭২৫ জনে। আর মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে এক কোটি ৩৬ লাখ ৫১ হাজার ৪০৪ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। ১৪ মার্চ পর্যন্ত মোট মৃত ২৯ হাজার ১১২ জনের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৫৮৮ জন ও মহিলা ১০ হাজার ৫২৪ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত নতুন রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক শূন্য ২৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে ১ হাজার ৯২২ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৬২ হাজার ৮০৮ জনে। রোগী সুস্থতার হার ৯৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এমইউ/কেএসআর