দেশে এ পর্যন্ত ২২ কোটি ৪ লাখ ১০ হাজার ৫৪২ ডোজ করোনা (কোভিড-১৯) টিকার প্রয়োগ হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১২ কোটি ৬০ লাখ ৩৮ হাজার ২৯৪ জন, দ্বিতীয় ডোজ ৮ কোটি ৯৪ লাখ ৮৬ হাজার ২০৫ জন। এছাড়া ৪৮ লাখ ৮৬ হাজার ৪৩ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেওয়া হয়েছে চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকা, যা ৪৭ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
Advertisement
সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে মোট ছয় ধরনের টিকা দেওয়া হচ্ছে। টিকাগুলো হলো- অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, মডার্না, সিনোভ্যাক ও জনসন অ্যান্ড জনসন। মোট টিকা নেওয়াদের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৪৭ শতাংশের বেশি মানুষ সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন।
সূত্র জানায়, সারাদেশে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৭২৫ জনকে দেওয়া হয়েছে টিকা। এর মধ্যে প্রথম ডোজ ১ লাখ ১১৭ জন, দ্বিতীয় ডোজ ৪ লাখ ৪ হাজার ৭৪৫ জন ও বুস্টার ডোজ দেওয়া হয় ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৩ জনকে।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১৩ মার্চ পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেন ৩ কোটি ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭৩ জন। এর মধ্যে ২ কোটি ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯০ জন প্রথম ডোজ, ১ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ৩৭৮ জন দ্বিতীয় ডোজ ও ২২ লাখ ৬১ হাজার ৬০৫ জন বুস্টার ডোজ নেন।
Advertisement
অপরদিকে এখন পর্যন্ত ফাইজারের টিকা নেন মোট ৩ কোটি ৯০ লাখ ৪ হাজার ২২৮ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ ২ কোটি ১৪ লাখ ১ হাজার ৪১৮, দ্বিতীয় ডোজ ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ৯০২ ও ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯০৮ জন বুস্টার ডোজ নেন।
সিনোফার্মের টিকা নিয়েছেন ১০ কোটি ৪৫ লাখ ৭৩ হাজার ২৭৫ জন। এর মধ্যে ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৬৪ হাজার ৮৬৬ জন প্রথম ডোজ, ৪ কোটি ৯০ লাখ ৮ হাজার ৪০৫ জন দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ নেন ৪ জন।
মডার্নার টিকা নেন ৮৬ লাখ ৬৫ হাজার ৬৬৫ জন। এর মধ্যে ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৮ জন প্রথম ডোজ, ৩০ লাখ ৬১ হাজার ১০১ জন দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজের টিকা নেন ২০ লাখ ৬৮ হাজার ৫২৬ জন।
সিনোভ্যাকের টিকা নেন ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৮৩১ জন। এর মধ্যে ২ কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার ৩৬২ জন প্রথম ডোজ ও ৫৯ লাখ ৬২ হাজার ৪৬৯ জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেন। এছাড়া জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয় ১ লাখ ৯১ হাজার ৯৫০ জনকে।
Advertisement
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে প্রথম নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে দেওয়া হয় টিকা। এরপর পর্যায়ক্রমে সারাদেশে শুরু হয় টিকাদান কর্মসূচি।
এমইউ/এমআইএইচ/জেডএইচ/জিকেএস