করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে তিন হাজার ৫১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ লাখ ২৬ হাজার ৭৮১ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১১ লাখ ২৫ হাজার ৭২৮ জন।
Advertisement
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখ ৬৬ হাজার ৪৫ জনে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৫ কোটি ৮৫ লাখ ২২ হাজার ১৩৮ জনে। এছাড়া এ পর্যন্ত করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৩৯ কোটি ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮৩৭ জন।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে চার হাজার ৫০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই সময়ে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৫২ হাজার ৩৩৭ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ লাখ ১৪ হাজার ৩৬০ জন।
সোমবার (১৪ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
Advertisement
২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এসময়ে দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৫০ হাজার ১৭৬ জন। একই সময়ে দেশটিতে মারা গেছেন ২৫১ জন। এ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৫৬ হাজার ৪৫৩ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১০ হাজার ৩৯৫ জনে।
তবে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৫৯৬ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মৃত্য বেড়ে দাঁড়ালো তিন লাখ ৬০ হাজার ৮১১ জনে। এই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৮৯ জনের। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৭৩ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৬ জনে।
করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১১৮ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন পাঁচ হাজার ১৪৩ জন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো আট কোটি ১১ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৭ জনে এবং মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয় লাখ ৯৩ হাজার ৮১১ জনে।
করোনা সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় এবং মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে একদিনে মারা গেছেন আরও ১৪৬ জন। এ নিয়ে দেশটিতে এ পর্যন্ত ছয় লাখ ৫৫ হাজার ১৩৯ জনের মৃত্যু হলো। ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৩৯৭ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ৯৩ লাখ ৬৮ হাজার ৭৭৬ জন।
Advertisement
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৫৭ জন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ২২২ জন। মহামারি শুরুর পর থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন চার কোটি ২৯ লাখ ৯৩ হাজার ২১৩ জন এবং মারা গেছেন পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ৯০৭ জন।
একদিনে ফ্রান্সে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬০ হাজার ৪২২ জন এবং মারা গেছেন ২৯ জন। এ নিয়ে দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দুই কোটি ৩৫ লাখ ১৪ হাজার ১৪৪ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৪০ হাজার ১০৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ১৩ হাজার ২৬৪ জন। একই সময়ে মারা গেছেন ৩২ জন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়ালো এক কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার ৪৭৯ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন এক লাখ ২৬ হাজার ১০৯ জন।
এছাড়া একদিনে তুরস্কে ১৩৮ জন, ইতালিতে ৮৬ জন, ইরানে ১১৮ জন, ইন্দোনেশিয়াতে ২১৫ জন, পোল্যান্ডে ১০ জন, মেক্সিকোতে ২০৩ জন, জাপানে ১৬৯ জন, মালয়েশিয়াতে ৮৭, ফিলিপাইনে ১৬৯, হংকংয়ে ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
ইএ/জেআইএম