ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাতের জেরে মলদোভা সীমান্তে মানুষের ঢল নেমেছে। প্রাণে বাঁচতে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার ইউক্রেনীয়। শরণার্থীদের আশ্রয় দিলেও পরিস্থিতি সামলাতে সহযোগিতা চেয়েছেন মলদোভার প্রধানমন্ত্রী।
Advertisement
মলদোভার প্রধানমন্ত্রী নাতালিয়া গ্যাভরিলিতা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত মলদোভায় আশ্রয় নিয়েছেন ২ লাখ ৭০ হাজার ইউক্রেনীয়।
তিনি বলেন, এক লাখের বেশি মানুষ অস্থায়ীভাবে হলেও মলদোভায় থাকতে চান। যা মলদোভার মতো দেশের জন্য অনেক বেশি।
মলদোভা ইউরোপের একটি ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ। দেশটির জনসংখ্যার এখন ৪ শতাংশ ইউক্রেনীয় সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।
Advertisement
ইউক্রেনের পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১২ লাখের মতো মানুষ দেশ ছেড়েছেন। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধে ৪০ লাখ নাগরিক ইউক্রেন ছাড়তে পারে। তবে তাদের আশ্রয় দিতেও ইউরোপ প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে। কিয়েভ ছেড়ে এসব নাগরিক ইউরোপের প্রতিবেশী দেশ মলদোভা ছাড়াও পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করেন রাশিয়ার সেনারা। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে, এমনকি বেলারুশ থেকেও হামলা চালানো শুরু হয়। ধীরে ধীরে রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয় রুশ সেনারা।
সূত্র: বিবিসি
এসএনআর/জেআইএম
Advertisement