করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে আরও চার হাজার ৫০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৫২ হাজার ৩৩৭ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ লাখ ১৪ হাজার ৩৬০ জন।
Advertisement
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখ ৬২ হাজার ৫৫৯ জনে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৫ কোটি ৬৭ লাখ ২৭ হাজার ৪৮৪ জনে। এছাড়া এ পর্যন্ত করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৩৯ কোটি তিন লাখ ১৪ হাজার ৮৩২ জন।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে পাঁচ হাজার ৯৪৬ জনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন ১৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৭৪ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৫ জন।
রোববার (১৩ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
Advertisement
২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এসময়ে দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তিন লাখ ৮৩ হাজার ৬৫১ জন। একই সময়ে দেশটিতে মারা গেছেন ২৬৯ জন। এ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ লাখ ছয় হাজার ২৭৭ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১০ হাজার ১৪৪ জন।
তবে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৬৩০ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মৃত্য বেড়ে দাঁড়ালো তিন লাখ ৬০ হাজার ২১৫ জনে। এই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৮ হাজার ১৫৪ জনের। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৭২ লাখ ৯০ হাজার ১৯৭ জনে।
করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪৬০ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ২৬১ জন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো আট কোটি ১১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৩৪ জনে এবং মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয় লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৩ জনে।
করোনা সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় এবং মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে একদিনে মারা গেছেন আরও ৩৮১ জন। এ নিয়ে দেশটিতে এ পর্যন্ত ছয় লাখ ৫৪ হাজার ৯৯৩ জনের মৃত্যু হলো। ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ২৬৫ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার ৩৭৯ জন।
Advertisement
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৪ জন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৫২৩ জন। মহামারি শুরুর পর থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন চার কোটি ২৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩৯৮ জন এবং মারা গেছেন পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ৮৪৭ জন।
একদিনে ফ্রান্সে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭২ হাজার ৪৪৩ জন এবং মারা গেছেন ৫১ জন। এ নিয়ে দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দুই কোটি ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার ২২২ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৪০ হাজার ৮০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক লাখ ৪৫ হাজার ২৬৭ জন। একই সময়ে মারা গেছেন ১৬৬ জন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা রোগী বেড়ে দাঁড়ালো এক কোটি ৭০ লাখ ২৭ হাজার ২১৫ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ২৬ হাজার ৭৭ জন।
এছাড়া তুরস্কে ১৩২ জন, ইতালিতে ১৩৩ জন, ইরানে ১৩৯ জন, ইন্দোনেশিয়াতে ২৪৮ জন, পোল্যান্ডে ১২৭ জন, মেক্সিকোতে ২৪৪ জন, জাপানে ১৬৩ জন, মালয়েশিয়াতে ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
ইএ/জেআইএম