যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র ভাগাভাগিতে নজর দিচ্ছে জাপানের আইনপ্রণেতারা। এ ইস্যুতে জাপানের ক্ষমতাসীন দলের মধ্যেই আলোচনা চলছে। যদিও এটি জাপানে একটি বিতর্কিত বিষয়। কারণ দেশটি পারমাণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে অঙ্গীকারবদ্ধ। শনিবার (১২ মার্চ) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
সম্প্রতি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলাকালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পারমাণবিক অস্ত্রের বহরকে সতর্ক থাকতে বলেন। এরপরই মূলত জাপানে বিষয়টি নতুনভাবে সামনে আসে। দেশটির ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে বলেন, এ বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা প্রয়োজন।
ন্যাটোর চুক্তির অধীনে জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও তুরস্ক তাদের মাটিতে আমেরিকান বি-১৬ পারমাণবিক অস্ত্রের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জোটের সদস্যরা এসব অস্ত্র বহনের জন্য প্লেনও মেইনটেইন করছে।
যদিও পারমাণবিক প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার ও নীতি-আইনের উদ্ধৃতি দিয়ে জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আইনপ্রণেতাদের বলেছেন, এই বিষয়ে আলোচনা করার ইচ্ছে তার সরকারের নেই।
Advertisement
এর আগে, যুদ্ধ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের বহরকে ‘বিশেষ সতর্কতায়’ রাখতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেন। এটি রাশিয়ার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বহরের জন্য ‘সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা’।
পুতিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুসহ সামরিক কর্মকর্তাদের বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার প্রতি বন্ধুত্বহীন পদক্ষেপ ও অবৈধ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। শিগগির এই পদক্ষেপের একটি ‘মূল্যায়ন’ নিয়ে আসা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র ইস্যুতে আলোচনা চলছে জাপান।
এমএসএম/জেআইএম
Advertisement