শিক্ষা

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা ও আশপাশে

আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। তবে এবার পরীক্ষার কেন্দ্র বিভাগীয় শহরগুলোতে হচ্ছে না। শুধু ঢাকা মহানগর ও এর পার্শ্ববর্তী উপজেলায় হবে পরীক্ষাকেন্দ্র। করোনার প্রাদুর্ভাব এড়াতে নেওয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত।

Advertisement

নিয়োগ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, ১, ৮, ১৫, ২২ ও ২৮ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষা হবে। পাঁচ ধাপে দুই শিফটে হবে পরীক্ষা। এর মধ্যে প্রথম শিফট সকাল ১০টায় ও দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা বিকেল ৩টায়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পরে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। প্রথম ধাপে ডাকা হবে তুলনামূলক বেশি সংখ্যক প্রার্থী। পরীক্ষা শুরুর পাঁচদিন আগে অনলাইন থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে বলা হবে। প্রতি ধাপের পরীক্ষা শুরুর আগে একইভাবে প্রবেশপত্র দেওয়া হবে। আবেদনকারীর মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাঠানো হবে ডাউনলোডের লিংক।

জানতে চাইলে নিয়োগ শাখার উপ-পরিচালক আতিক বিন সাত্তার জাগো নিউজকে বলেন, এই পরীক্ষা আয়োজনে মন্ত্রণালয় থেকে সময় জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্র নির্বাচনের কাজ শুরু হয়েছে।

Advertisement

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিয়োগ কমিটির এক সদস্য জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে ১৩ লাখের বেশি আবেদনকারীর পরীক্ষা ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নেওয়া হবে। তবে সেটি পাঁচ ধাপে শেষ করা সম্ভব হবে না। এজন্য আরও দু-তিনটি অর্থাৎ সাত বা আটটি ধাপে আয়োজন করা হতে পারে।

আগামীকাল থেকে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির কাজ শুরু হবে বলে জানান নিয়োগ কমিটির এ সদস্য। সেই সঙ্গে কেন্দ্র নির্দিষ্ট করার কাজ শুরু হবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এক সভায় এপ্রিল মাসে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের জুলাই মাসের মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

সভায় আরও জানানো হয়, সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু মহামারির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়। এতে বিদ্যালয়গুলোতে দেখা দেয় শিক্ষক সংকট। এ সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়।

Advertisement

তথ্যমতে, দুই বছর আগে প্রাক-প্রাথমিক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে সারাদেশে ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। এর মধ্যে রাজশাহী বিভাগে আবেদন করেছেন দুই লাখ ১০ হাজার ৪৩০ জন, খুলনায় এক লাখ ৭৮ হাজার ৮০৩ জন, ময়মনসিংহে এক লাখ ১২ হাজার ২৫৬ জন, ঢাকায় দুই লাখ ৪০ হাজার ৬১৯ জন, চট্টগ্রামে এক লাখ ৯৯ হাজার ২৩৬ জন, বরিশালে এক লাখ ৯ হাজার ৩৪৪ জন, সিলেটে ৬২ হাজার ৬০৭ জন এবং রংপুরে এক লাখ ৯৬ হাজার ১৬৬ জন।

এছাড়া অনেক প্রার্থীর আবেদনে ক্রুটি থাকায় তা দুই ধাপে সংশোধন করার সুযোগ দেওয়া হয়।

এমএইচএম/জেডএইচ/জেআইএম