খেলাধুলা

মালয়েশিয়াকে হারিয়েই সেমি নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দুঃস্বপ্ন এখনও কি তাড়া করে ফিরছে মামুনুলদের! যশোরে প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে ৪-২ গোলের বড় ব্যবধানে হারানোর পর সেটা অবশ্য এখন আর অবশিষ্ট থাকার কথা নয়। অধিনায়ক মামুনুল ইসলামের কথা-বার্তাতেই সেটা দেখা গেলো। বোঝা গেলো দৃঢ় প্রত্যয়ের চাপ। বললেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল প্রথম ম্যাচটা জেতা। তাহলেই একটা ছন্দে ফিরে আসা যাবে। সেটা অর্জিত হয়েছে। এখন আমাদের চেষ্টা শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়া।’সামনে এগিয়ে যাওয়া বলতে, টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট মালয়েশিয়াকে পরাস্ত করা। গত আসরের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে জিততে পারলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত বাংলাদেশের। সে লক্ষ্যেই বুধবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ মুখোমুখি হচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মালয়েশিয়ার। শক্তিশালি এই দলটিকে হারাতে পারলেই সবার আগে সেমি নিশ্চিত হয়ে যাবে মারুফুল হকের শিষ্যদের। আগামীকাল (বুধবার) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মালয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এই মালয়েশিয়া গতবারের চ্যাম্পিয়ন। যেখানে ফাইনালে বাংলাদেশ ৩-২ গোলে হেরে রানার্স আপ হয়েছিল। এবার সেই মালয়েশিয়া এবার গ্রুপ পর্বেই প্রতিপক্ষ। গত আসরেও গ্রুপ পর্বে মালয়েশিয়ার সঙ্গে মোকাবেলা করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে, হেরেছিল মামুনুলরা। তবে এবার গ্রুপ পর্বেই জয় পেতে বেশ আশাবাদী মামুনুল শিবির। মামুনুলদের আশার কথা হচ্ছে, এবারের আসরের শুরুটা ভালো হয়নি মালয়েশিয়ার। যশোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে তারা।গত আসরে দুইবারের মোকাবেলায় দুটিতেই হার। বুধবার ম্যাচের আগে প্রতিশোধের আবহ থাকছে কি না বাংলাদেশ শিবিরে? অধিনায়ক মামুনুল অবশ্য সেটা মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রত্যেকটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। সব ম্যাচই চ্যালেঞ্জ। মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধেও ম্যাচটিও তেমন। সবাই প্রস্তুত নিজেদের সেরাটা দেয়ার জন্য।’  মালয়েশিয়াকে হারিয়ে সেমিতে যাওয়ার আশা কোচ মারুফুল হকেরও কণ্ঠেও। মঙ্গলবার বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জয়ের প্রত্যয় ফুটে উঠল তার কণ্ঠে, ‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমার লক্ষ্য ছিল প্রথম ম্যাচ জেতা। পরের লক্ষ্য হলো সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করা।’মালয়েশিয়ার এই দলটা আসলে জাতীয় দল নয়। ঘরোয়া লিগের ক্লাব ফেলডা ইউনাইটেড এফসি বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে খেলতে এসেছে মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি হয়ে। তবে ফেলডা এফসিকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ধরেই ছক কষছেন বাংলাদেশের কোচ। তার মতে, ‘মালয়েশিয়াকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ধরে ম্যাচ শুরু করতে যাচ্ছি। তাদের শেষ ম্যাচের পারফরম্যান্স দেখে বেশি মূল্যায়ন করেছি। ছেলেরাও ম্যাচ নিয়ে শতভাগ মনোযোগী।’বাংলাদেশের দুর্বলতা রক্ষণভাগ। যা নিয়ে বেশকিছুদিন খুব বেশি আলোচনা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠতেই কোচ মারুফুল হক বলেন, ‘রক্ষণ নিয়ে আমি সবসময় বেশি কাজ করে থাকি। ক্লাব পর্যায়ে এবং জাতীয় দলেও আমি এ দিকটা নিয়ে বেশি কাজ করেছি। এটা রাতারাতি শতভাগ সমাধান করা সম্ভব নয়। যতদূর সম্ভব হয়, ভুল কমানোর চেষ্টা করছি।’কোচ-অধিনায়কের পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদী ভালো খেলার আহ্বান জানালেন খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে। তার মতে, সাফের ব্যর্থতা মুছে ফেলার সুযোগ এই টুর্নামেন্ট। কোচের নির্দেশনা সব খেলোয়াড় যেন অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ম্যাচ গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। এটাই সেরা সময়, কিছু করে দেখানোর। আমাদের সেই দক্ষতা ও সক্ষমতা আছে। তোমাদের সঙ্গে আছে গোটা দেশের মানুষও’।অন্যদিকে বাংলাদেশকে সমীহ করলেও জয়ের আশা ছাড়ছেন না মালয়েশিয়া দলের কোচ হাজী ইরফান বাগতি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যথেষ্ট শক্তিশালী দল। তাদের আমরা সমীহ করছি। ম্যাচটি কঠিন হবে। তবে ছেলেদের বলেছি, কিছু একটা করতে হবে স্বাগতিকদের থামাতে’।আইএইচএস/আরআইপি

Advertisement