দেশজুড়ে

পাল্টাপাল্টি সভা ডাকায় হবিগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি

হবিগঞ্জের বাহুবলে একই স্থান ও সময়ে পাল্টাপাল্টি সভা আহ্বানকে কেন্দ্র করে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

Advertisement

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন ফাতেমা এ নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেন। শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে উপজেলা সদরে মাইকিং করে এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রচার করা হয়।

ইউএনও মহুয়া শারমিন ফাতেমা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, একই সময় ও স্থানে দু’টি পক্ষ সভা আহ্বান করেছে। তাই সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হবে বলে প্রশাসন মনে করছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শনিবার দুপুর থেকে রোববার (১৩ মার্চ) উপজেলার বাগান বাড়ি থেকে চলিতাতলা পর্যন্ত এবং এর আশপাশের এলাকায় সকল ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।

সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান শনিবার বিকেলে একটি প্রতিবাদ সভার ঘোষণা করেন। সভাটি শনিবার বিকাল ৩টায় বাহুবল বাজারে অনুষ্ঠিত হবে বলে মাইকিং করা হয়। ওই রাতেই উপজেলা ছাত্রলীগ একই সময় ও স্থানে পাল্টা সভা আহ্বান করে মাইকিং করে। এতে শনিবার সকাল থেকে উভয়পক্ষে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। তাই আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ০৪ মার্চ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান মিরপুর বাজারে গেলে দুই ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান ও হিরন একটি ড্রেন পরিদর্শনের কথা বলে তাকে বাজারের পেছনে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তার ওপর হামলা চলান ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে থাকা লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. দুলাল মিয়া অভিযুক্ত দুইজন ছাত্রলীগ কর্মী বলে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার বিরোধী বক্তব্য দেওয়ায় তার সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীদের ঝগড়া হয়েছে। তবে হামলার ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে ৫ মার্চ (শনিবার) উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর হামলার অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে সৈয়দ ইসলাম হোসেন বাদী হয়ে বাহুবল মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। এতে উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান মিয়া ও আলিফ সোবহান চৌধুরী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী হিরণ মিয়াসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়। হামলা ও মামলার বিষয়টিকে ঘিরে উভয়পক্ষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এফএ/জেআইএম

Advertisement