আন্তর্জাতিক

জেলেনস্কিকে ফোনে ৪৯ মিনিট ধরে কী বোঝালেন বাইডেন?

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে শুক্রবার (১১ মার্চ) টেলিফোনে দীর্ঘসময় কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পাক্কা ৪৯ মিনিটের ওই কথপোকথনে তিনি ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টকে বোঝাতে চেষ্টা করেছেন, রাশিয়াকে সাজা দিতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

Advertisement

সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, বাইডেন-জেলেনস্কি এর আগে যতবার ফোনে কথা বলেছেন, সেগুলোর স্থায়িত্ব ছিল বড়জোর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট। কিন্তু শুক্রবারই তারা সবচেয়ে বেশি সময় কথা বলেছেন।

এসময় বাইডেন জেলনস্কিকে জানিয়েছেন, ইউক্রেন আক্রমণের কারণে ক্রেমলিনকে সাজা দিতে রাশিয়ার সঙ্গে স্বাভাবিক বাণিজ্য সম্পর্কও স্থগিত করতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র।

Had a substantive conversation with @POTUS. Gave him the assessment of the situation on the battlefield, informed about the crimes of Russia against the civilian population. We agreed on further steps to support the defense of Ukraine and increase sanctions against Russia.

Advertisement

— Володимир Зеленський (@ZelenskyyUa) March 11, 2022

বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ প্রসঙ্গে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট পরে টুইটারে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাস্তবসম্মত কথপোকথন হয়েছে। তাকে যুদ্ধের পরিস্থিতি ও বেসামরিক মানুষদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার করা অপরাধ সম্পর্কে অবহিত করেছি। আমরা ইউক্রেনের নিরাপত্তা জোরদার এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বাড়াতে আরও পদক্ষেপের বিষয়ে সম্মত হয়েছি।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে কথিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করেছে রাশিয়া। এরপর থেকে ইউক্রেনে চার শতাধিক বেসামরিক মানুষ হতাহত ও রাশিয়ার কয়েক হাজার সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে এই লড়াইয়ে পশ্চিমা মিত্রদের সরাসরি পাশে পায়নি দেশটি। প্রবল পরাক্রমশালী রুশ বাহিনীর বিপক্ষে তাদের লড়তে হচ্ছে একাই।

রাশিয়া আক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটো দেশগুলো সৈন্য-সামন্ত নিয়ে এগিয়ে আসবে বলে ধারণা ছিল ইউক্রেনের। কিন্তু ন্যাটো পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, তারা ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না। এমনকি রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে ইউক্রেনের আকাশে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা দিতেও আপত্তি জানিয়েছে পশ্চিমা এই সামরিক জোট।

I want to be clear: We will defend every inch of NATO territory with the full might of a united and galvanized NATO.But we will not fight a war against Russia in Ukraine. A direct confrontation between NATO and Russia is World War III. And something we must strive to prevent.

Advertisement

— President Biden (@POTUS) March 11, 2022

এখন পর্যন্ত রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে ইউক্রেনকে অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা আর মস্কোর ওপর বড় বড় নিষেধাজ্ঞা দিয়েই ক্ষান্ত পশ্চিমা দেশগুলো। ইউক্রেনকে মানবিক ও সামরিক সহায়তা দিতে শুক্রবারই ১ হাজার ৩৬০ কোটি ডলারের বিশাল একটি প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস।

কেএএ/এএসএম