জাতীয়

প্রাথমিক শিক্ষা অধিকার আইন প্রণয়নের দাবি শিক্ষাবিদদের

প্রাথমিক শিক্ষা অধিকার আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসহ শিক্ষাবিদরা। একই সঙ্গে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে জনমত তৈরি, আইনের মাধ্যমে  শিক্ষক-অভিভাবকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তারা।মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর হোটেল সোনাওগাঁয়ে পার্লামেন্টারি ককাস অন চাইল্ড রাইটস (পিসিসিআর) ও সেভ দ্য চিলড্রেনের যৌথ আয়োজনে  ‘রাইট টু প্রাইমারি অ্যাডুকেশন’ র্শীষক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।গোলটেবিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকটে ফজলে রাব্বী বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদে সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। এর দীর্ঘ দিন পরে ১৯৯০ সালে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক আইন পাস হয়। এ আইনটি অপরিপক্ক, অসমাপ্ত এবং পূর্ণ বিশ্লেষক মূলক আইন নয়। আমরা যদি ১৯৯০ সালের আইনটিকে যুযোপযোগী করতে পারি এবং আর্টিক্যাল ৭২ এর কথাগুলো অ্যানালাসিস করে আইনে সন্নেবেশিত করতে পারি তাহলেই প্রাথমিক শিক্ষা অধিকার নিশ্চিত হবে।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আগে প্রাইমারির শিক্ষকরা বুরোট্রের্নি পাস করে পড়িয়েছে। তারা পারলে  এখন কেন গুণগত শিক্ষা দিতে পারছি না।এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের মটিভেশন হতে হবে।অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম বলেন, নতুন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিকার আইন প্রণয়ন করতে হবে না। আইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সুরক্ষা দিতে হবে। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যাপক কাজী ফারুক বলেন, প্রাথমিকের যেসব স্কুল অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করা হয়েছে সেখানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় হচ্ছে না। এ সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যামিরেটাস অধ্যাপক মঞ্জুর আলাম বলেন, শতভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি আমাদের মূল কথা নয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিকার আইন করে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আইন করতে কোন সমস্যা নেই। এর জন্য দরকার উদ্যোগ।প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক আবু হেনা মস্তফা কামাল বলেন, ১৭ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যখন ছিল এখন ৬৮ হাজার স্কুলে একই জনবল কাঠামো দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মনিটরিং করা হচেছ। ফলে অনেক সময় মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। বর্তমানে ৯৭ শতাংশ শিশু স্কুলে ভর্তি হয়। কিন্তু দুর্গম এলাকা ও প্রতিবন্ধী শিশুদের অনেকে স্কুলে ভর্তি না হওয়ায় শতভাগ ভর্তি এখনও নিশ্চিত হয়নি। গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরচিালক তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের সময় শিক্ষায় বাজেট ছিল ১৪ শতাংশ তা কমতে কমতে ১০ শতাংশে এসেছে। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষায় বাজেট বাড়াতে হবে।গোলটেবিল বৈঠকের শুরুতে লিখিত আলোচনাপত্র পাঠ করনে সেভ দ্যা চিলড্রেনের পরচিালক (শিক্ষা) তালাৎ মাহমুদ। এনামুর রহমান এমপির সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন, সেভ দ্যা চিলড্রেন এর ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর টিম হোয়াইট, ডা. এনামুল ইসলাম এমপি, আবুল কালাম আজাদ এমপি, শামসুল হক দুদু এমপি, হোসেন আরা লুৎফা এমপি, আবুল কালাম আজাদ এমপি, রাজিয়া কাজল এমপি, ইউনিসেফের ব্যবস্থাপক মো. মহসিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।এনএম/এএইচ/আরআইপি

Advertisement