মিষ্টি খেতে কে না পছন্দ করেন! ছোট-বড় সবাই মিষ্টি পেলে খুশি। এছাড়া ঘরোয়া আয়োজন থেকে শুরু করে বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে মিষ্টি ছাড়া যেন চলেই না।
Advertisement
রসগোল্লা, চমচম থেকে শুরু করে বাহারি মিষ্টি খেয়ে থাকেন সবাই। তবে কখনো কি কমলা ভোগ মিষ্টি খেয়েছেন?
দেখতেও যেমন সুন্দর, খেতে আরও সুস্বাদু এই মিষ্টি। চাইলে ঘরে মাত্র ৬ উপকরণেই তৈরি করতে পারবেন এই মিষ্টি। জেনে নিন রেসিপি-
১. তরল দুধ ২ লিটার ২. পানি সাড়ে ৪ কাপ ৩. সিরকা ৩ টেবিল চামচ৪. ময়দা ১ চা চামচ ৫. হলুদ ফুড কালার সামান্য ও৬. চিনি ২ কাপ।
Advertisement
পদ্ধতি
প্রথমে দুধ চুলায় দিয়ে জ্বাল করে নিন। এরপর আধা কাপ পানির সঙ্গে সিরকা মিশিয়ে নিতে হবে। দুধ জ্বাল দিয়ে গরম হতেই চুলা বন্ধ করে দিন। তারপর পানি ও সিরকার মিশ্রণ ধীরে ধীরে ঢালতে হবে। তবে একবারে ঢালা যাবে না। সবটুকু ঢালতেই দুধ ফেটে ছানা হয়ে যাবে। পানি হলুদ কালার হয়ে যাবে।
তখনই চুলা থেকে নামিয়ে পাতলা কাপড়ের উপর ঢেলে ছেঁকে নিন। তারপর ছানার উপরে ঠান্ডা পানি ঢেলে নিন। এক ঘণ্টার মতো জায়গায় বেঁধে ঝুলিয়ে রাখুন ছানা। তাহলে ভালোভাবে পানি ঝড়ে পড়বে।
এরপর বড় প্লেটে ছানার সঙ্গে ময়দা ও ফুড কালার মিশিয়ে নিন। ছানা ভালোভাবে হাত দিয়ে মথে নিতে হবে। হাতের তালু দিয়ে ঘষে ঘষে ছানাটা মথে নিন। বেশ কিছুক্ষণ পর যখন ছানা নরম হয়ে যাবে তখন বুঝতে হবে মিষ্টি তৈরির ছানা তৈরি হয়ে গেছে।
Advertisement
এবার ছোট ছোট করে মিষ্টির সাইজে তৈরি করুন ছানা দিয়ে। সবগুলো মিষ্টি একইভাবে তৈরি করে নিন। তারপর চুলায় প্যান বসিয়ে তাতে পানি ও চিনি মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে সিরা তৈরি করে নিন।
সিরা ঘন করার দরকার নেই। চিনি গলে ফুটে উঠলেই তাতে বানানো মিষ্টিগুলো দিয়ে দিতে হবে। এরপর ঢেকে রাখুন ৫ মিনিটের জন্য। চামচ দিয়ে খুব সাবধানে মিষ্টিগুলো নেড়ে আবারও ঢেকে দিন ১০-১৫মিনিটের জন্য।
চুলা বন্ধ করার পরও মিষ্টিগুলো ঢেকে রাখতে হবে ২-৩ ঘণ্টার জন্য। পুরোপুরি ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত সেভাবেই রাখুন। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে কমলাভোগ মিষ্টি।
রেসিপি ও ছবি: ঝুমুর’স কিচেন
জেএমএস/জিকেএস