সাহিত্য

আবু আফজাল সালেহের যুদ্ধের তিনটি কবিতা

যুদ্ধে রং জীবনের রং মুছে দেয়

Advertisement

নীলাভ আকাশ কমলা মিসাইলের জন্য জেগে ওঠেবাতাসে বারুদের গন্ধউড়ন্ত কাঠকয়লার গন্ধপ্রাণীর পোড়া গন্ধযখন সবুজ ঘাসেও দম বন্ধ হয়ে যায়।

সমস্ত যুদ্ধে রাস্তা নির্জন হয় কিন্তু নীরবে ভয়ংকর হয়ফিরোজা সমুদ্রে সীসার বুলেটনদীতে রক্ত, সূর্যাস্ত যেন অস্বস্তিকরধোঁয়াশা কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপের নিচে কাঁদে শিশু, নারী, জীবন।

সোনালি বালির প্রতিবাদ নির্দোষতার বিরুদ্ধেযুদ্ধের রং জীবনের রং মুছে দেয়যেমন হলুদ পুড়ে যায় এবং কমলা ছাই হয়ে যায়পরিবার ভেঙে যায় এবং স্বাধীনতা কেঁপে ওঠে।

Advertisement

****

আমরা কি কখনো শিখবো না? যুদ্ধের সময় বা যুদ্ধক্ষেত্রেযুদ্ধবিরতির জন্য দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় করার কী আছে?রাশিয়া-ইউক্রেনীয় যুদ্ধ সম্পর্কেই বা কী বলার আছে!সমস্ত যুদ্ধের মতো, এই যুদ্ধে কোনো বিজয়ী নেইমিডিয়া, ফ্ল্যাশ-ছবি, গুজব, মিথ্যা অবিরাম।

একটি শেল বিস্ফোরিত-আগুনের শিখা আকাশের উপরে,ধোঁয়া কালো মেঘের মতো আকাশে আঘাত করেরাস্তায়, ভগ্ন দালানে লাশআমাদের কী করার আছে?যাদের ক্ষমতা আছে তারা তো পুতুল নাচের আয়োজন করেছে।

যুদ্ধের সময় শহরগুলো এখন নির্জন প্রায়কৃত্রিম শব্দে কাঁপে;কিছুদিন আগেও ছিল প্রাণচঞ্চল,বাঙ্কার, পাতালপথে এবং বেজমেন্টে লুকিয়ে থাকে প্রাণগুলো;বা উদ্বাস্তু হয়ে পালিয়ে যায়কী ভয়ানক দৃশ্য!

Advertisement

বিশ্ব নেতারা বড় বড় কথা বলছেননিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেনকিন্তু বিভিন্ন অজুহাতেগোলাবারুদের গন্ধ থেমে নেই।নিষেধাজ্ঞা জীবনের নিরাপত্তা নয়কথাও আরামদায়ক নয়আন্তরিকতাই যুদ্ধের দিনে সমাধানকিন্তু কোনো পক্ষ আন্তরিক নয়।

রাশিয়া-ইউক্রেনীয় যুদ্ধ রাতারাতি ঘটেনি কিন্তু!হে আয়না, আমাকে সত্যটি বলোআমরা কি কখনো কিছু শিখবো না?

****

আসলেই কি যুদ্ধ শেষ হবে?

আসলেই কি যুদ্ধ শেষ হবে?ক্ষমতার রক্ত অসাড় রাসায়নিক দিয়ে তৈরি।ইউক্রেন এবং শাস্তিফিলিস্তিন এবং স্বাধীনতাআমাদের পৃথিবী স্তব্ধ এবং কাঁপানো, বিস্ময়ে বিমূঢ়।একই ধরনের ভয়ংকর ছবি--বিষাদগ্রস্ত হৃদয়কে আঁকড়ে ধরে আছে।

নৃশংসতার উপলব্ধিআমেরিকা জিতেছে কোথাও?বা পরাশক্তি বা বর্বরশক্তি?যুদ্ধবিধ্বস্ত মাটির চিহ্ন রেখে যায় শুধু।

উন্মাদ রায় এবং অবিশ্বস্ত বর্বররা রাত-দিন নির্দোষদের শিকার করেমন্দ আমাদের থামাতেই হবেঅসুস্থ স্মৃতিময় গণতন্ত্র প্রতিরোধ করতে হবে।

এসইউ/জিকেএস