ফেনীর পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের নাসির উদ্দিন ভিলেজ সড়কের সেতুটির চওড়া মাত্র ৬ দশমিক ৫৬ ফুট। সরু সেতুটিই এখন এলাকাবাসীর ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
সেতুটি সরু হওয়ায় রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা বাদে এলাকায় বড় কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না। গাড়ি পারাপারে সমস্যা থাকায় কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে কিংবা সামাজিক আচার অনুষ্ঠানে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে এলাকায় প্রবেশ করতে হয়। দীর্ঘদিনেও গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে প্রশস্ত সেতু নির্মাণ না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে ২৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২ মিটার প্রস্থের একটি সেতু তৈরি করা হয়। তখন এ এলাকায় জনবসতির সংখ্যা কম ছিল। গুরুত্বপূর্ণ তেমন কোনো কার্যালয় ছিল না। কিন্তুু সময়ের ব্যবধানে আশপাশের এলাকায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও বিদ্যুৎ সংযোগসহ বহুমুখী উন্নয়ন হলে এ এলাকায় মানুষের চলাচল ও বসতি বাড়তে থাকে।
বর্তমানে উপজেলা শহর থেকে নাসির উদ্দিন ভিলেজ সড়ক হয়ে অন্তত ১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিনটি উচ্চ বিদ্যালয় ও তিনটি মাদরাসায় যাতায়াত করতে হয়। এ সড়ক হয়েই যেতে হয় শালধর ও রাজষপুর বাজারে। উপজেলা শহর থেকে চিথলিয়া ইউপিতে যেতেও ব্যবহার হয় নাসির উদ্দিন ভিলেজ সড়কটি।
Advertisement
তবে এ সড়কের সেতুটি সরু হওয়ায় পার্শ্ববর্তী ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন হয়ে ধনীকুন্ডা দিয়ে ঘুরে যাতায়াত করতে হয় স্থানীয়দের। এতে স্থানীয়দের সময় ও অর্থের অপচয় হচ্ছে।
স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মী গাজী মাসুদ রানা জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভোটের সময় প্রার্থীরা প্রতিবারই এখানে সেতু করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। নির্বাচনে পর নতুন নতুন তৎপরতা দেখান। কিন্তুু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।’
চিথলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গ্রেটার নোয়াখালী প্রকল্প-৪-এর আওতায় নাসির উদ্দিন ভিলেজ সড়কের পুরোনো সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এটি নির্মাণ হলে স্থানীয়দের যাতায়াত নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’ এ ব্যাপারে পরশুরাম উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম ভূঞা জানান, ওই এলাকায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্য ও সাত মিটার প্রস্থের একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার বলেন, ‘সীমান্তঘেঁষা এ সড়কে এক সময়ে মানুষের বসতি কম ছিল। তৎকালীন সমস্যার আলোকে সরু রাস্তায় সরু সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তুু এখন ওই এলাকায় অনেক মানুষের বসবাস। রাস্তা অনেক প্রশস্ত হয়েছে। কিন্তুু নতুন বরাদ্দ ও অনুমোদন না পাওয়ায় সরু সেতুটি এখনো রয়ে গেছে। তবে শিগগির নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।’
Advertisement
নুরউল্লাহ কায়সার/এসআর/জিকেএস