আন্তর্জাতিক

তেল-গ্যাসে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব নেই ত্রিপুরায়

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে দু’সপ্তাহের বেশি। যুদ্ধে ইউক্রেনের বন্দরগুলো অচল আর রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা ঝড়ের প্রভাবে দুই দেশ থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি প্রায় বন্ধ। এর ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বেই। হু হু করে দাম বাড়ছে জ্বালানি তেল, গ্যাস, গম, ভুট্টা, অ্যালুমিনিয়ামের মতো নানা ধরনের পণ্যের। ভারতের কিছু রাজ্যেও ইউক্রেন যুদ্ধের ‘অজুহাতে’ জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ত্রিপুরা রাজ্যে এর তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।

Advertisement

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ছোট্ট এ রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বুধবার (১০ মার্চ) পেট্রল বিক্রি হয়েছে প্রতি লিটার ৯৮ দশমিক ২৩ রুপিতে। গত ৮ মার্চ মধ্যরাত থেকে কার্যকর রয়েছে এই মূল্যহার।

এর আগে, গত ৭ মার্চ পেট্রলের দাম ২৯ পয়সা বাড়িয়ে করা হয়েছিল ৯৮ দশমিক ৫২ রুপি। গত ১ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যটিতে পেট্রলের দাম ছিল ৯৮ দশমিক ২৩ রুপি। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে এর দাম লিটারপ্রতি চার পয়সা কমানো হয়েছিল।

ত্রিপুরায় ডিজেলের দামের অবস্থাও অনেকটা পেট্রলের মতো। গত ৭ মার্চ রাজ্যটিতে ডিজেলের দাম ২৭ পয়সা বাড়িয়ে ৮৫ দশমিক ৮৮ রুপি করা হয়। এর আগে, ২৮ ফেব্রুয়ারি এর দাম ছিল ৮৫ দশমিক ৬৫ রুপি। গত ১ মার্চ চার পয়সা কমলে ডিজেলের দাম দাঁড়ায় ৮৫ দশমিক ৬১ রুপি।

Advertisement

ত্রিপুরায় তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজির দাম সাধারণত আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের ওপর নির্ভরশীল। বাইরে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়লে রাজ্যটিতে এলপিজি সিলিন্ডারের দামও বাড়ে। দামের এই ওঠানামা প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ায় ত্রিপুরায় বর্তমানে ভর্তুকিহীন এলপিজির দাম বেড়ে প্রতি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১০৬০ দশমিক ৫০ রুপিতে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সেখানে রান্নায় ব্যবহৃত এ গ্যাসের দাম ছিল ১০৪৫ দশমিক ৫০ রুপি প্রতি সিলিন্ডার। তার চার মাস আগে মে মাসে গ্যাসের দাম ছিল ৯৭০ রুপি।

অর্থাৎ, কয়েক মাস আগের তুলনায় হিসাব করলে ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল-গ্যাসের দাম এখন সামান্য বেশি। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে যেভাবে দাম লাফিয়ে বাড়বে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তেমনটা হয়নি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করছেন, দেশটির পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনই জ্বালানির দাম বাড়াতে চায়নি মোদী সরকার। বরং বলা হচ্ছে, আবগারি শুল্ক কমাতে পারলে আগামী দিনে ত্রিপুরায় জ্বালানির দাম আরও সস্তা হতে পারে।

Advertisement

কেএএ/জিকেএস