পাড়ার হাবু সাহেব নাসির উদ্দিন হোজ্জাকে সুনজরে দেখতেন না। অন্য সবার কাছেই খুব প্রিয় ছিলেন হোজ্জা। তবে কোনো এক কারণে হাবু সাহেবকে কেউ পছন্দ করতেন না। মূলত সবাই হোজ্জাকে খুব ভালোবাসতেন এ কারণেই তিনি নাসির উদ্দিনকে হিংসা করতেন ।
Advertisement
তো একবার হাবু সাহেবের মেয়ের বিয়ে। পাড়ার সবাইকে নিমন্ত্রণ করেছেন তিনি। কিন্তু নাসির উদ্দিনকে করেন নি। নাসির উদ্দিনও জেদ ধরলেন যেমন করে হোক নেমন্তন্ন খেতে হবে। মোল্লার বুদ্ধি বের করতে দেরি হলো না।
একটা খামের ওপর লোকটির নাম লিখে তার ভেতরে এক টুকরো সাদা কাগজ ভরে খামখানার মুখ বন্ধ করে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হলেন মোল্লা। সকলে খেতে বসবে ঠিক সেই সময়েই উপস্থিত হয়ে বাড়ির মালিকের হাতে খামখানা দিয়ে বললেন, বাদশাহ এই চিঠিখানা পাঠিয়েছেন।
হাবু সাহেব খুব খুশি। স্বয়ং বাদশাহ নিশ্চয়ই মেয়ে-জামাইকে আশীর্বাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। মনের আনন্দে তিনি মোল্লাকে খুব খাতির-যত্ন করে বসিয়ে খাওয়ালেন।
Advertisement
বেশ পেট ভরে খাওয়ার পর নাসিরুদ্দিন লোকটির কাছে বিদায় নিতে গেলে তার চিঠির কথা মনে পড়ল। এতক্ষণ কাজের ব্যস্ততায় খামখানা খোলার সময় হয় নি।
খামখানা খুলে তো তিনি থ ! জিজ্ঞেস করলেন, মোল্লা সাহেব, বাদশাহ তো কিছুই লিখেন নি। এর মধ্যে তো রয়েছে শুধু একখানা সাদা কাগজ।
মোল্লা বললেন, এর জবাব তো আমি দিতে পারব না, আমাকে চিঠিখানা হাতে দিয়ে পৌঁছে দিতে বললেন, আমি পৌঁছে দিয়েছি। আমার কাজ এখানেই শেষ।
লেখা: সংগৃহীতছবি: সংগৃহীত
Advertisement
প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যে কোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।
কেএসকে/এমএস