অমর একুশে বইমেলায় এসেছে দিলারা হাফিজের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘বালিকার চরৈবেতি’। মেলার ২১তম দিনে গত সোমবার (৭ মার্চ) মেলায় আসে কাশবন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এ বই।
Advertisement
বইটির ভূমিকায় দিলারা হাফিজ লিখেছেন, জীবন এক মহাসমুদ্র। এর তলদেশে যেমন অজস্র মুণিমুক্তো বাস করে তেমনই থাকে শ্যাওলা সবুজের কিছু আবর্জনাও। বিষ ও অমৃতের ধারাবাহিক মাখামাখিতে মানুষের ছোট্ট জীবন কোন ফাঁকে যে মহীরুহে রূপান্তরিত হয়ে ওঠে, তা বুঝতে না বুঝতেই ফুরিয়ে যায় তার অমনিবাস। আপন ঘর বলতে বুঝি, জন্মস্থান ও তার বেড়ে ওঠার সকাল-দুপুর-রাত্রি ঘিরে নতুন গজিয়ে ওঠা অনুপম সময়। যার চিরকালীন আবেদন ইহজীবনে কখনো ফুরিয়ে যায় না। স্মৃতিবদ্ধ পাগল মানুষ তাই হয়তো আত্মজীবনী লিখতে প্রলুব্ধ হয়, জীবনের উপাত্তে এসে। আত্মজীবনী মানেই তো সময়ের আয়নাতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কেবল নিজেকেই দেখা। এ দেখার যেন কোনো শেষ নেই। এক ধরনের নার্সিসিজম তো বটেই।
দিলারা হাফিজের জন্ম ১৯৫৫ সালের ২০ নভেম্বর মানিকগঞ্জের গড়পাড়া গ্রামে। বাবা বখশী হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মা রহিমা হাফিজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। ১৯৮০ সালে ডিপ-ইন-এড এ তিনি প্রথম শ্রেণি পান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ইউজিসির স্কলারশিপে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন ১৯৯৮ সালে। ৩৭ বছর শিক্ষকতা জীবনে সরকারি কুমুদিনী কলেজ, ইডেন কলেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজ ও তিতুমীর কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, ঢাকার চেয়ারম্যান হিসেবে চাকরি থেকে অবসরে যান।
শিক্ষকতার পাশাপাশি দেশের নিরক্ষরতা দূরীকরণে বিটিভির বহুল প্রচারিত ও জননন্দিত গণশিক্ষামূলক অনুষ্ঠান “সবার জন্য শিক্ষা” গবেষণা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘ ২২ বছর। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিশু। নিজ অঞ্চলের পশ্চাৎপদ শিশুদের প্রতিভা বিকাশ ও সার্বিক উন্নয়নে গড়ে তুলেছেন ‘মানিকগঞ্জ শিশু ফোরাম’। ১৯৯৫ সাল থেকে তিনি এ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্বে।
Advertisement
এমআইএস/এমকেআর/জেআইএম