ইউক্রেন আক্রমণের কারণে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে স্থানীয় বাজারে তেল-গ্যাসের দাম ব্যাপকভবে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা সত্ত্বেও রাশিয়াকে সাজা দিতে বাইডেন প্রশাসনের এ পরিকল্পনায় সমর্থন রয়েছেন বেশিরভাগ মার্কিন রাজনীতিকের। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
খবরে বলা হয়েছে, রুশ তেল আমদানি নিষিদ্ধের এ পদক্ষেপ ইউরোপীয় মিত্রদের বাদ দিয়ে এককভাবেই নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় রাশিয়ার জ্বালানির ওপর ইউরোপীয় দেশগুলোর নির্ভরতা অনেক বেশি।
রাশিয়া আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে, তেল রপ্তানি নিষিদ্ধ হলে তারা পশ্চিমা বিশ্বে গ্যাস রপ্তানি বন্ধ করে দেবে। মস্কো ভালোভাবেই জানে, পশ্চিমাদের এ ধরনের পদপেক্ষ রুশ অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ হতে পারে।
অবশ্য ইউক্রেন শুরু থেকেই রাশিয়ার তেল-গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ করতে পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আসছে। তাদের এ দাবি মেনে নিলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল-গ্যাসের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
Advertisement
এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত সোমবার (৭ মার্চ) একপর্যায়ে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম প্রতি ব্যারেল ১৩৯ ডলারে পৌঁছেছিল। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তেলের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইউরোপ তাদের প্রয়োজনীয় গ্যাসের প্রায় ৪০ শতাংশ ও জ্বালানি তেলের ৩০ শতাংশই আমদানি করে রাশিয়া থেকে। ফলে রুশ তেল আমদানি নিষিদ্ধ করলে এর বিকল্প জোগাড় করা কঠিন হবে তাদের জন্য।
সেই তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র মোট তেল আমদানির মাত্র আট শতাংশ নেয় রাশিয়া থেকে। সংকটের আশঙ্কা মাথায় রেখে এরই মধ্যে স্থানীয়ভাবে তেলের উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
বিবিসির খবর অনুসারে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে রুশ তেল নিষিদ্ধের ঘোষণা দিতে পারেন বাইডেন। হোয়াইট হাউজ তেল নিষিদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও তারা জানিয়েছে, এদিন রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
Advertisement
কেএএ/এমএস