চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মেধার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
Advertisement
তিনি বলেন, মেধা দিয়ে বিশ্ব জয় করতে হবে। তরুণদের প্রোগামিং এ উৎসাহিত করতে পারলে সবকিছু ডিজিটাল করতে খুব একটা সময় লাগবে না।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে ‘ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি) ওয়ার্ল্ড ফাইনাল ঢাকা ২০২২’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তরুণদের উদ্দেশে পলক বলেন, সমস্যা সৃষ্টিকারী না হয়ে সমস্যা সমাধানকারী হিসেবে নিজেদের তৈরি করতে হবে। এর মাধ্যমে নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব।
Advertisement
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রোগ্রামিং বিশ্ব পরিবর্তনের হাতিয়ার। ইংরেজি, গণিতসহ সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ছোট বেলা থেকেই প্রোগ্রামিং শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। ডাক্তার, সাংবাদিকসহ যে কোনো পেশায় সাফল্য বয়ে আনতে গণিত ও বিজ্ঞানের পাশাপাশি কোডিং ও প্রোগ্রামিং শিক্ষার বিকল্প নেই। আমাদের আগামীর লক্ষ্য হচ্ছে জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর, জ্ঞানসমৃদ্ধ প্রজন্ম গড়ে তুলতে দেশে তিনশটি স্কুল অব ফিউচার, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠাসহ আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আইসিপিসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে দেশের অগ্রগতি। এই অগ্রগতির মাধ্যমে ন্যায়সঙ্গত সমাজ ও সেবার সুষম বণ্টন করাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আমরা যে জ্ঞান অর্জন করেছি তা অতিক্রম করতে পারলে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আরও সুযোগ করতে পারলেই আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। আমরা দেশের তরুণ-তরুণীদের, ছাত্র-ছাত্রীদের ও শিশুদের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার লক্ষ্যে দেশব্যাপী উদ্যোগ নিয়েছি।
Advertisement
তরুণ প্রজন্মের জন্য প্রতি বছর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ৪৫তম আসরের ‘আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনাল ঢাকা’ এবার বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আইসিপিসি আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বেলর বিশ্ববিদ্যালয়। এবারের আসরের আয়োজন করেছে বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। এতে প্রোগ্রামের আয়োজনে রয়েছে গ্লোবাল হোস্ট ‘আইসিপিসি ফাউন্ডেশন’, একাডেমিক হোস্ট ‘ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক’ ও সহ-আয়োজক হিসেবে কাজ করছে ‘বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল’।
এইচএস/আরএডি/এমএস