ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্দ মাদ্রাসারা ছাত্ররা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, ব্যাংক এশিয়ার শাখা অফিসসহ নানা সাংস্কৃতিক সংগঠনে হামলা চালানো হয়েছে। এদিকে দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষুব্দরা শহরের পুরাতন জেল রোডস্থ সুর সম্রাট উস্তাদ আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনেও হামলা চালিয়ে ব্যাপ ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়া শহরের ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্তরের কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিসও ভাংচুর করেছে বিক্ষুব্দরা।এ ব্যাপারে আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান সরকার জাগোনিউজ বলেন, ‘দুপুরে অতর্কিতভাবে একদল মাদ্রাসা ছাত্র এসে সংগীতাঙ্গনে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা সংগীতাঙ্গনের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করেন এবং আর্কাইভে সংরক্ষিত উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতি বিজড়িত নানা জিনিসপত্র ভেঙ্গে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন।’তিনি এই হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন। এদিকে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের উপর হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সংস্কৃতি কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোপ বিরাজ করছে। এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক সাংবাদিক মো. মনির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘উগ্র মৌলবাীরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিল্প-সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার জন্য সুরসম্রাট উস্তাদ আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গন আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে এবং বেশ কয়েকটি সংগঠনের অফিস ভাংচুর করেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিল্প-সংস্কৃতির উপর এমন আঘাত আর কোনোদিন আসেনি। সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে শিল্প-সংস্কৃতির উপর এই বর্বর হামলা চলেছে। এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। একজন মানুষের মৃত্যু সবাইকে ব্যতিত করে। কিন্তু সেটা এভাবে ভাংচুর করার মধ্য দিয়ে প্রকাশ করাটা বোকামি।’এলাকাবাসী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন। আজিজুল আলম সঞ্চয়/এলএ
Advertisement