জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৬ তম এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলন ঢাকায় শুরু হয়েছে। দেশে আয়োজিত এটি কৃষির সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সম্মেলন। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন দেশের কৃষি সচিব ও অফিসিয়ালদের নিয়ে সম্মেলনের প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে।
Advertisement
সম্মেলনে এশিয়া ও প্যাসিফিকভুক্ত ৪৬টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। এফএওর সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করছে।
এসময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, দেশে কৃষি সংশ্লিষ্ট সবচেয়ে বড় আয়োজন এটি। যা বাংলাদেশের জন্য গৌরবের। করোনার কারণে এবার হাইব্রিড ফরম্যাটে (সরাসরি ও ভার্চুয়াল) এ সম্মেলন হচ্ছে। তিনি জানান, এতে অংশ নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে ৪৩টি সদস্য রাষ্ট্র, এফএওর মহাপরিচালক, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও ও সিভিল সোসাইটির ৮৮৫ জন প্রতিনিধি নিবন্ধন করেছেন। সম্মেলনে সদস্য দেশের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের ৪২ জন সম্মানিত সদস্যও অংশ নেবেন।
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ এফএওর সদস্য হয়। ১৯৫৩ সালে ভারতের বেঙ্গালুরুতে সংস্থাটির প্রথম আঞ্চলিক সম্মেলন হয়েছিল। গত বছর এ সম্মেলন হয় ভুটানে। সেখানে পরবর্তি সম্মেলন বাংলাদেশে আয়োজনের পক্ষে সমর্থন দেন প্রতিনিধিরা।
Advertisement
এবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সম্মেলনের মূল অধিবেশন ও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও কান্ট্রি শোকেসিং হবে। সম্মেলনের প্রথম দুই দিন ৮ ও ৯ মার্চ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কৃষি সচিব ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সভা হবে। শেষ দুই দিন ১০ ও ১১ মার্চ কৃষিমন্ত্রী পর্যায়ের সভা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে হবে। ১০ মার্চ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে খাদ্য ও কৃষির বর্তমান অবস্থা, জলবায়ু সহনশীল কৃষি ও খাদ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে করণীয়, এগ্রিকালচার ভ্যালু চেইন ডিজিটালাইজেশন ত্বরান্বিতকরণ, ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচে গড়ে তুলতে অগ্রাধিকার চিহ্নিতকরণ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সম্মিলিত বিনিয়োগ নিয়ে এবারের সম্মেলনে আলোচনার বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ সময় এফএওর বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন সাংবাদিকদের বলেন, কোভিড-১৯ পূর্বাবস্থা পুনরুদ্ধার, জলবায়ু সংকট, গবাদি পশু এবং ফসলের রোগের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে এ সম্মেলন হচ্ছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদস্য দেশগুলোর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বিশ্বব্যাপী মহামারীর সময় খাদ্য ও কৃষি খাতে অর্থনীতি, জীবিকার ক্ষতির মোকাবিলা এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে চার দিনের অধিবেশনের জন্য আহ্বান করেছে। তাদের সুপারিশগুলো বিবেচনা করে পরবর্তি পাঁচ বছর এফএও তাদের কার্যক্রম চালাবে।
এনএইচ/একেআর/জিকেএস
Advertisement