ডা. আদেলী এদিব খান
Advertisement
৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবস। যা মানব সভ্যতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। তবে একজন নারী হওয়ার কারণে এটি আমাদের সমাজে সর্বদা চ্যালেঞ্জিং, যেখানে পুরুষের আধিপত্য। এমনকি একবিংশ শতাব্দীতেও আছে উল্লেখযোগ্য বৈষম্য বিদ্যমান।
সমাজ ও পরিস্থিতি যেটাই হোক না কেন, নারীর জন্য সব স্তরই চ্যালেঞ্জিং। চিকিৎসা, ঘর কর্মজীবন সব ক্ষেত্রেই। ঠিক তেমনই এর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ নারীর স্বাস্থ্য।
আজ নারীর ‘মৌখিক স্বাস্থ্য’ অর্থাৎ দাঁতের কিছু ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করবো। আর এসব সমস্যা এড়াতে কী সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত তা উল্লেখ করবো।
Advertisement
বয়ঃসন্ধি, ঋতুস্রাব, গর্ভাবস্থা ও মেনোপজের সময় নারীদের হরমোন পরিবর্তন মাড়ির রোগকে বাড়িয়ে তোলে। ঋতুস্রাবের সময়, প্রোজেস্টেরন হরমোন স্তরের ওঠানামা ঘটে। এর ফলে মাড়িতে লালভাব এমনকি মাড়ি থেকে রক্তপাতও হতে পারে। এমনকি হতে পারে জিঞ্জিভাইটিস।
গর্ভাবস্থায় একই হরমোন ফ্যাক্টর মুখের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। গর্ভাবস্থা হলো বেশিরভাগ নারীর স্থূলত্বের পর্ব। এসময় উচ্চ ডায়েটরি সরবরাহ করা হলে দেখা যায় যে, বেশিরভাগ নারী প্রত্যাশা অনুযায়ী মুখের ভেতর পরিষ্কার করতে পারেননি। তাই দাঁতের সমস্যা বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক।
মাসিক ও গর্ভাবস্থায় দাঁতের যে জটিলতা দেখা দেয়
এ সময় নারীদের দাঁতের বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। এগুলো হলো- গুরুতর মাড়ির রোগ (জিঙ্গিভাইটিস), দাঁত হারাতে পারে, অ্যাসিড পুনঃস্থাপন ও বমি বমিভাবের কারণে দাঁতের অ্যানামেল স্তর ক্ষয় হতে পারে, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহার মাড়ির রোগকে প্রভাবিত করে।
Advertisement
কী সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত?
১. নিয়মিত দাঁতের চেকআপ।২. ঝুঁকি এড়াতে শুধুমাত্র গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের প্রয়োজনে চিকিৎসা।৩. মৌখিক ওষুধ ও অ্যান্টিবায়োটিক যতটা সম্ভব এড়ানো। ৪. মাসিক শেষ হওয়ার পর ডেন্টিস্টের সঙ্গে দেখা করা ভালো। ৫. নিয়মিত দু’বেলা ব্রাশ করা ও নিয়মিত ফ্লসিং করতে হবে।
সবশেষ বলা যায়, মানবদেহের মধ্যে দাঁত খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যখন প্রতিবার হাসবেন, আপনার স্বাস্থ্য ও সুখ উপভোগ করবেন।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা ডেন্টাল পিক্সেল
জেএমএস/জেআইএম