বাদাম ওয়ালার মতো ঘাড়ে লাল গামছা, তার সঙ্গে বাঁধা ডালা। ডালার ওপর থরে থরে সাজানো লাল টসটসে স্ট্রবেরি। এ স্ট্রবেরি নেবেন, স্ট্রবেরি নেবেন এমন শব্দ দিয়ে হিলির পথেঘাটে ঘুরে বেড়ান এক যুবক। মাত্র ২২ বছরের এক যুবক মারুফ হোসেন।
Advertisement
হিলির পথেঘাটে এই সুস্বাদু ফল বিক্রি করতে দেখা যায় মারুফকে। স্বাদ আর পুষ্টিতে ভরপুর এই মিষ্টি ফলের দাম মাত্র ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে। দাম অনেকটা সাধ্যের মধ্যে থাকায় এ ফল দেখে পরিবারের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে।
মারুফ জানায়, তার বাড়ি জয়পুর হাট জেলায়। স্ত্রী আর দুই কন্যাসন্তান নিয়ে তার সুখের সংসার। স্ট্রবেরির রং লাল হলেও সেই ফলেই সংসারের রঙিন স্বপ্ন দেখেন মারুফ।
বুধবার বিকেলে হিলি বাজারে দেখা মারুফের সঙ্গে। স্ট্রবেরির ডালা কাঁধে হিলির অলিগলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। সুস্বাদু এ ফল খেতে ভিড় করছে অনেকে। প্রতি কেজি স্ট্রবেরি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। এতে তার প্রতিদিন ৪০০ টাকা আয় হয়। এই দিয়েই চলে তিনজনের সংসার।
Advertisement
তিনি বলেন, আক্কেলপুর থেকে স্ট্রবেরি সংগ্রহ করেন। এরপর জয়পুরহাট, আক্কেলপুর, জয়পুরহাট, কালাই, পাঁচবিবি, হিলি উপজেলার পথে পথে স্ট্রবেরি বিক্রি করি। এখন অনেক মানুষ আমাকে স্ট্রবেরি মারুফ নামে ডাকেন। এভাবে চললে আমার সংসারের রঙিন স্বপ্ন ফিরে আসবে।
স্ট্রবেরি ক্রেতা সোহেল রানা বলেন, আজ বাজারে প্রথম স্ট্রবেরি দেখলাম দাম অনেক বেশি। তারপরও নতুন ফল বাজারে উঠছে তাই পরিবারের জন্য কিনে নিলাম। দাম কম হলে আমাদের জন্য ভালো হয়। কারণ এসব মৌসুমি ফল পরিবারের সদস্যদের খাওয়াতে হয়। দাম এত বেশি যে গরিব মানুষরা কিনতে পারবে না।
স্ট্রবেরি বিক্রেতা মারুফ হোসেন বলেন, আমার বাড়ি জয়পুরহাটে। আমি প্রতি বছর এই সময় প্রথম ধাপের স্ট্রবেরি জমি থেকে কিনে ফেরি করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করি। এতে দামও অনেক ভালো পাওয়া যায়।
এসব স্ট্রবেরি জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলা জামালপুর থেকে কিনে আনছি। আজ ৫ কেজি স্ট্রবেরি বিক্রি করছি হিলিতে। প্রতি কেজি বিক্রি করছি ৬০০ টাকায়। এখনো পুরোদমে স্ট্রবেরি জমি থেকে উঠতে শুরু করেনি। পুরোদমে ওঠা শুরু করলে দাম কমে আসবে।
Advertisement
কেএসকে/এএসএম