উকুন হলো ক্ষুদ্র পরজীবী। এর যন্ত্রণায় ভোগেন অনেকেই। বিশেষ করে বড় চুলে উকুন বাসা বাঁধে। মাথার চুলে যে উকুন হয় তাকে পেডিকিউলাস ক্যাপিটিস বলা হয়।
Advertisement
আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকা, একই বিছানা বা পোশাক-পরিচ্ছদ ব্যবহার করা, একই চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানো, মাথা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখা ইত্যাদি কারণে সাধারণত উকুন হয়।
মানবদেহে সাধারণত ৩ ধরনের উকুন থাকে। মাথার চুলে যে উকুন হয়, তাকে বলা হয় পেডিকিউলাস ক্যাপিটিস। দেহে যে উকুন হয়, তাকে বলা হয় পেডিকিউলাস করপোরিস। এছাড়া লোমে, বগলে, গোঁফে-দাড়িতে, চোখের পাতায় যে উকুন হয়, তাকে বলা হয় পেডিকিউলাস পিউবিস।
মাথার উকুন তামাটে বর্ণের বা রঙের হয়। এরা একসঙ্গে শতাধিক ডিম পাড়ে। যাদেরকে সাধারণত নিকি বা নিক বলা হয়। এর থেকে ৭-১০ দিনের মধ্যে বাচ্চা হয় ও মাথার উকুনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
Advertisement
দ্রুত উকুন থেকে মুক্তি পেতে কতজনই না কত কিছু ব্যবহার করেন। বিশেষ করে বাজারজচলতি প্রসাধনীতে বেশি ভরসা রাখেন সবাই। তবে চাইলে কয়েকটি সহজ উপায়েও মাথার উকুন দ্রুত দূর করতে পারবেন। তাও আবার রাতারাতি। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রাতারাতি মাথার উকুন দূর করার ৫ উপায়-
>> চিকন চিরুনি দিয়ে মাথার ত্বক থেকে ডগা পর্যন্ত চুল আঁচড়ানোর মাধ্যমে উকুন বের করার পদ্ধতি সবচেয়ে পুরোনো ও কার্যকরী। এ সময় চুলে অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল ব্যবহারের পর আঁচড়ালে উকুন দূর করা সহজ হয়। প্রতি সপ্তাহে ৩-৪ নিয়মিত এভাবে চুল আঁচড়ালে অনেকটাই কমে যাবে উকুন।
>> টি ট্রি অয়েল বা চা গাছের তেলের গন্ধ উকুন সহ্য করতে পারে না। এই তেল চুলের গোড়ায় ব্যবহার করে সারারাত রাখলেই সব উকুন মরে যাবে। রাতারাতি উকুন দূর করতে বেশ কার্যকরী এক উপায় এটি।
>> পেট্রোলিয়াম জেলি (ভ্যাসলিন) থেকে শুরু করে জলপাই তেল, মাখন বা মেয়োনিজ মাথার ত্বকে ব্যবহার করে সারারাত শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন। দেখবেন রাতারাতি উকুন মরে যাবে।
Advertisement
>> হেয়ার ড্রায়ারের মাধ্যমে চুলে গরম বাতাস প্রয়োগ করলে মাথার ত্বকে ডিহাইড্রেশন হয়। ফলে উকুন ও ডিম মারা যেতে পারে।
>> একই সঙ্গে উকুন তাড়ানোর শ্যাম্পুও পাওয়া যায় বাজারে। সেগুলোও নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি চুলের চিরুনি, ব্রাশ বা চুলে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্য কমপক্ষে ১০ মিনিটের জন্য গরম সাবান পানিতে ভিজিয়ে পরিষ্কার করুন।
সূত্র: মেডিসিন নেট
জেএমএস/জেআইএম