জাতীয়

ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে মলদোভায় বাংলাদেশি ২৮ নাবিক

ইউক্রেন সীমান্ত পার হয়েছেন বাংলাদেশি জাহাজ ‘এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি’র ২৮ নাবিক। বাংলাদেশ সময় রোববার (৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে ইউক্রেন সীমান্ত পার হন। বর্তমানে তারা মলদোভা দূতাবাসের হেফাজতে রয়েছেন।

Advertisement

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. সাখাওয়াত হোসাইন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে রকেট হামলায় নিহত বাংলার সমৃদ্ধির থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুরের মরদেহ এখনো ইউক্রেনেই রয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, হাদিসুরের মরদেহ দ্রুত দেশে ফেরানোর যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২৮ নাবিকের দেশে ফেরার বিষয়েও দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

Advertisement

এর আগে শনিবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুরে একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দর সংলগ্ন বাংকার (শেল্টার হাউজ) থেকে বেরিয়ে মালদোভার পথে যাত্রা শুরু করেন ২৮ নাবিক।

জানা যায়, বিএসসির মালিকানাধীন জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল। ভারতের মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে যায়। ওলভিয়া থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে ২৯ জন ক্রু নিয়ে ওলভিয়া বন্দরে আটকা পড়ে জাহাজটি। পরে গত বুধবার ২ মার্চ রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। তবে অন্য ২৮ জনকে বৃহস্পতিবার নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানায় বিএসসি।

এদিকে ২৮ নাবিককে দেশে দেশে ফিরিয়ে আনা, প্রাণ হারানো হাদিসুরকে জাতীয় বীর ঘোষণা এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের বন্দরে জাহাজ পাঠানোর ঘটনায় বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ)। বিএমএমওএ’র সাধারণ সম্পাদক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ২৮ নাবিক সহসা দেশের পথে যাত্রা করবেন।

তবে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে কাদের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে বা কাদের সহযোগিতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২৮ নাবিককে উদ্ধারে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করছে। এখানে বিষয়টি মানবিক। যারা উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছে তারা নাম প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

Advertisement

ইকবাল হোসেন/ইএ/জেআইএম