দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। এখানে বছরজুড়ে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মতো। তবে করোনাকালীন বিধিনিষেধের সময় প্রায় পর্যটকশূন্য ছিল দেশের অন্যতম এই বিনোদন কেন্দ্রটি। কিন্তু এখন করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় স্বরূপে ফিরেছে কুয়াকাটা সৈকত।
Advertisement
শুক্রবার (৪ মার্চ) সৈকতের তিন নদীর মোহনা থেকে গঙ্গামতি পর্যন্ত সবগুলো স্থান পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর ছিল। শিশির ভেজা ভোরে সূর্যোদয় দেখা, সূর্যকে মাথার ওপরে রেখে সৈকতে হৈ-হুল্লোড় আর সমুদ্র স্নান, বিকেলে লাল টুকটুকে সূর্যকে বিদায় জানিয়ে পরিবার পরিজন ও প্রিয়জনকে নিয়ে অনেকেই ফিরছেন নিজ গন্তব্যে।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে আসা আশরাফুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, করোনার ক্লান্তি কাটাতে পরিবার নিয়ে কুয়াকাটায় আসা। সবাইকে নিয়ে সূর্যাস্ত উপভোগ করছি। সারাদিন ঘুরে ঘুরে সবগুলো স্পট দেখেছি, বেশ ভালো লাগছে।
পর্যটক বাড়ার সঙ্গে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এখানকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সপ্তাহের অন্যদিনের চেয়ে শুক্রবার বেশি পর্যটকরা আসেন। সারা সপ্তাহে মোটামুটি হলেও শুক্রবার সবকিছু জমজমাট থাকে।
Advertisement
পর্যটন মৌসুমের শেষ মাস ধরা হয় মার্চকে। তাই এ মাসে বহু সংখ্যক পর্যটক কুয়াকাটা ঘুরতে আসেন। আবাসিক হোটেলগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেলো, বেশিরভাগ হোটেলরই কক্ষ বুকিং দেওয়া আছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি শাহ-আলম হওলাদার বলেন, আজকে বেশিরভাগ হোটেলে বুকিং রয়েছে। পর্যটকদের আগমনও বেশ ভালো। পুরো মার্চ মাস পর্যটকদের চাপ থাকবে। পর্যটক আসায় ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জাগো নিউজকে বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক তৎপর। তবে শুক্রবার ছুটির দিনে আমাদের বিশেষ কয়েকটি টিমসহ গোয়েন্দা বিভাগও কাজ করছে। সব ধরনের অপরাধ ঠেকাতে আমরা সবসময় প্রস্তুত।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/এমআরআর
Advertisement