ওজন কমানোর রেসে বর্তমানে সবাই কমবেশি দৌড়াচ্ছেন। কেউ না খেয়ে থাকছেন, কেউ আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে সময় কাটাচ্ছেন। ওজন কমাতে যদিও ডায়েট ও শরীরচর্চার বিকল্প নেই, তবে এর পাশাপাশি সঠিক জীবনযাপন করাও জরুরি। অর্থাৎ সময়মতো খাওয়া কিংবা ঘুমের বিকল্প নেই।
Advertisement
বর্তমানে অনেকেই ঘুমের বিষয়ে সঠিক নজর রাখেন না। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম জরুরি। বয়সভেদে ঘুমের পরিমাণ একেকজনের উপর নির্ভর করে। গবেষণা বলছে, পুরুষের চেয়ে নারীর এক থেকে দুই ঘণ্টা বেশি ঘুম প্রয়োজন।
ঠিক একইভাবে ওজন কমাতে হলেও আপনাকে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। জানেন কি, ঘুমিয়েও ওজন কমানো যায়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যিই যে, আপনি ঘুমিয়েও ওজন ঝরাতে পারবেন।
এ কারণেই পুষ্টিবিদরা বলেন, ওজন কমাতে গেলে আগে ঘুমের সময়সূচী পরিবর্তন করুন। আর মনে রাখবেন, এক্ষেত্রে গভীর ঘুম হওয়া আবশ্যক। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক ঘুমিয়েই কীভাবে ওজন কমাবেন-
Advertisement
>> প্রতি রাতে অতিরিক্ত এক ঘণ্টার ঘুম আপনাকে ২৭০ ক্যালোরি পর্যন্ত কমাতে সাহায্য করতে পারে। আর প্রতিদিন যদি আপনি এভাবে ২৭০ ক্যালোরি করে বার্ন করতে পারেন তাহলে বছরে প্রায় ৯ পাউন্ড হারাতে পারবেন।
>> ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস প্রোটিন শেক খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে আপনার পেট ভরা থাকবে ও মধ্যরাতে ক্ষুধাও লাগবে না। অন্যদিকে প্রোটিন কিন্তু কার্বোহাইড্রেটের তুলনায় অনেক বেশি থার্মোজেনিক। এর ফলে ঘুমিয়েও আপনি বেশি ক্যালোরি পোড়াতে পারবেন।
>> কম্বল ছাড়া ঘুমানোর চেষ্টা করুন। কম তাপমাত্রায় ঘুমালে বিপাকক্রিয়া বাড়ে। এর ফলে শরীর একসঙ্গে আরও বেশি ক্যালোরি পোড়ায়। গবেষণায় দেখা গেছে, কম তাপমাত্রায় ঘুমালে শরীরের বাদামি চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এই চর্বি শরীরের জন্য ভালো। বাদামি চর্বি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
>> অনেকেই রাতের খাবার এড়িয়ে যান। যা মোটেও ভালো অভ্যাস নয়। ঘুমানোর আগে সঠিকভাবে না খেলে শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। রাতের খাবার এড়িয়ে গেলে শরীর ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ে। যা বিপাককে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে ও হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়।
Advertisement
>> ঘুমের সময় চোখে স্লিপিং মাস্ক পরুন। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অন্ধকার ঘরে ঘুমান তাদের ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ২১ শতাংশ কম। তাই স্লিপিং মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জে৮এমএস/এমএস