ইউক্রেন-রাশিয়ার তীব্র লড়াই গড়ালো ৯ম দিনে। রাশিয়ার হামলা অব্যাহত রয়েছে দেশটির রাজধানী কিয়েভ, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভসহ বিভিন্ন স্থানে। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বিশ্বাস করবেন না। রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনার বাস্তবতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
Advertisement
বিবিসি নিউজনাইটের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে তার কথা রাখতে বিশ্বাস করা অসম্ভব।
ইউক্রেনে দু'পক্ষের তীব্র লড়াইয়ে দেশ দুটির সেনা সদস্যদের সঙ্গে নিহত হচ্ছে সাধারণ নাগরিকরাও। এ পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।
এদিকে, রুশ বাহিনীর হামলায় ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন লেগেছে। এটি ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। পার্শবর্তী শহর এনারগোদারের মেয়র দিমিত্রো অরলভ বলেছেন, শুক্রবার (৪ মার্চ) ভোরের দিকে রুশ বাহিনীর হামলায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে আগুন লাগে।
Advertisement
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হয় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি।। টানা কয়েকদিন ধরেই দুপক্ষের মধ্যে লড়াই চলছে। দেশটির বেশ কয়েকটি শহর দখলের দাবি করেছে রুশ সেনাবাহিনী। সবশেষ ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের খেরসন শহর পুরোপুরি দখল করে রুশ সেনা।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে খারকিভ, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে মারিওপোল এবং উত্তরাঞ্চলের চেরনিহিভ শহরে বিমান ও গোলা হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া।
সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশের আগে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। পুতিনের এ ঘোষণার পরপরই শুরু হয় ইউক্রেন আগ্রাসন।
সূত্র: বিবিসি
Advertisement
এসএনআর/এমএস