দেশজুড়ে

কাহালুর সেই শিশুর মরদেহ ১২ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন

বগুড়ার কাহালুর শিশু সাবাহ আক্তারকে হত্যার পর জিনের ওপর দোষ চাপানোর ঘটনায় কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন আদালত। সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকালে শিশুটির মরদেহ দাফনের ১২ দিন পর কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

মরদেহ উত্তোলনের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমবার হোসেন বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

এসময় সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাহালু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) সবুজ কুমার বসাক, কাহালু থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদসহ পুলিশের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাহালু সদর ইউনিয়নের দামাই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের শিশু কন্যা জেরিন (৯) তার দুই বছর বয়সী ছোট বোন সাবা মনিকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবেশী হাফিজার রহমানের গাছের বড়ই কুড়াতে যায়। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলে দুই বোন বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বজনরা। এক সময় বড়ই গাছের নিচে সাবা মনিকে মৃত ও জেরিনকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদেরকে উদ্ধারের পর শিশুদের চাচা রেজওয়ান ও তার পরিবারের লোকজন সাবা মনির মৃত্যুর জন্য জিনের প্রভাবকে দায়ী করে এলাকায় প্রচার করে রাতেই তড়িঘড়ি করে মরদেহ দাফন সম্পন্ন করেন।

Advertisement

অন্যদিকে, সংজ্ঞাহীন জেরিনকে বগুড়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জেরিন কিছুটা সুস্থ হয়ে জানায়, তাদের চাচা রেজওয়ান সাবা মনির মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এসময় জেরিন চিৎকার করলে তার মাথায়ও লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। আর জেরিন সুস্থ হওয়ার খবরে তার চাচা রেজওয়ান আত্মগোপন করেন। এই ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতেই জেরিনের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে কাহালু থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর পুলিশ রেজওয়ানকে রাতেই গ্রেফতার করে। পরের দিন রেজওয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডসহ সাবা মনির মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। এরপর গত মঙ্গলবার (১ মার্চ) আদালত শিশুটির মরদেহ কবর থেকে তোলার নির্দেশ দেন। পরে আজ তার মরদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

এমআরআর

Advertisement