আলোচিত নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বনানী থানায় দায়ের করা মামলা তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করবে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই লক্ষ্যে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে নোট জমা দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১ মার্চ) পরীমনির এ মামলা তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলা তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করবো রাষ্ট্রপক্ষ থেকে। এ জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে নোট জমা দেওয়া হয়েছে। এখন আপিল প্রস্তুতির পালা, এর মধ্যে যতদিন সময় লাগে। সেটা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
Advertisement
গত ৫ জানুয়ারি তিনজনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের অভিযোগ গঠন করেন। এরপর ৩০ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ ধারায় আবেদন করেন পরীমনি। মামলার অন্য দুই আসামি হলেন- আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন।
২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। একই সঙ্গে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত ১০-এ বদলি করা হয়। ওই বছর ৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
একই বছরের ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে প্রতিবেদন দাখিল হওয়া পর্যন্ত পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন এই নায়িকা।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাব। পরদিন ৫ আগস্ট বিকেলে পরীমনি, চলচ্চিত্র প্রযোজক রাজ ও তাদের দুই সহযোগীকে বনানী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
Advertisement
এরপর র্যাব বাদী হয়ে বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। সেই মামলায় পরীমনিকে আদালতে হাজির করা হলে প্রথমে চারদিনের রিমান্ড ও পরে আরও দুই দফায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এ জন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। সেখানে নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।
এফএইচ/বিএ/এএসএম