রমজানকে সামনে রেখে একটি অসাধু চক্র সয়াবিন তেলসহ নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা তেলের বোতলে মূল্য টেম্পারিং করে দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে বলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে। অভিযোগ পেয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বুধবার যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা বাজারে অধিদপ্তর অভিযান চালায়। অভিযানে তেলের বোতলে মূল্য টেম্পারিংসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
Advertisement
অভিযানে ভোজ্য তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সঠিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে কিনা তদারকি করা হয়। এতে ভোক্তা-অধিকার লঙ্ঘনজনিত বিভিন্ন অপরাধে ভোক্তা-অধিকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও সতর্ক করা হয়। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিব এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে এক লিটার সয়াবিন তেলের বোতলে মূল্য টেম্পারিং এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় অর্ণব স্টোরকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। উৎপাদন ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখবিহীন খাদ্যপণ্য বিক্রি ও সংরক্ষণ এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় একই জরিমানা করা হয় আতিয়ার স্টোরকে। ১, ২ ও ৫ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলে মূল্য ঘঁষেমেজে তুলে নতুন দামে বিক্রি (মূল্য টেম্পারিং) করায় জোয়ারদার ট্রেডার্সকে জরিমানা করা হয় ৩ হাজার টাকা।
এছাড়া সাজ কসমেটিকসকেও জরিমানা করা হয় ৩ হাজার টাকা। আমদানিকারকের স্টিকার/লেবেলবিহীন বিদেশি প্রসাধনী ও ওষুধ বিক্রি ও সংরক্ষণ করছিল দোকানটি।
Advertisement
তদারকিকালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সয়াবিন তেলের বোতলে প্রদর্শিত মূল্য টেম্পারিং না করার জন্য নিষেধ করা হয় এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শন, ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণসহ যথাযথভাবে এবং সঠিক নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করার নির্দেশনা দেয় হয়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিব অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিলন রহমান/এফএ/এএসএম
Advertisement