কৃষি ও প্রকৃতি

শেষ হলো জাতীয় সবজি মেলা

রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) চত্বরে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী জাতীয় সবজি মেলা-২০২২ শেষ হয়েছে।

Advertisement

বুধবার (২ মার্চ) বিকালে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান হয়।

এবারের মেলায় প্রায় ৩১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সবজি বিক্রি হয়েছে। গত বছর বিক্রি হয়েছিল ৩০ লাখ টাকার। ষষ্ঠবারের মতো এ মেলার আয়োজন করে কৃষি মন্ত্রণালয়। মেলায় সরকারি ৯টি ও বেসরকারি ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৪৬টি স্টল অংশ নিয়েছিল।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক।

Advertisement

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম শাক-সবজি আবাদে বিশেষ অবদানে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, জেলা ও মেলায় অংশ নেওয়া স্টলের মধ্যে পুরস্কার দেন। এসময় তিনি বলেন, নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

এতে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) শরিফা খান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল, ড. মো. আব্দুর রৌফ, কমলারঞ্জন দাশ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আলম, বিভিন্ন সংস্থা প্রধান ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

পুরস্কার হিসেবে ছিল ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ টাকা। জাতীয় পর্যায়ে ২০২১ সালে শাক-সবজি আবাদে বিশেষ অবদানে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার আব্দুল হালিমকে প্রথম পুরস্কার দেওয়া হয়। দ্বিতীয় হয়েছেন হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার মো. আব্দুল বাছির বদু, তৃতীয় হয়েছেন ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার কামরুল আহসান। এছাড়া টাঙ্গাইল জেলার ধানবাড়ি উপজেলার মো. মিজানুর রহমানকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।

শাক-সবজি উৎপাদনের মাধ্যমে শস্যের নিবিড়তা বাড়াতে, হেক্টরপ্রতি গড় ফলন সর্বোচ্চ ও দেশের সবজির চাহিদা পূরণে বিশেষ অবদান রাখায় জেলা পর্যায়ে প্রথম হয়েছে চুয়াডাঙ্গা, দ্বিতীয় নারায়ণগঞ্জ ও তৃতীয় ঠাকুরগাঁও জেলা।

Advertisement

সবজি ও সবজি বীজ উৎপাদনে বিশেষ অবদান বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ জেলা নির্বাচিত হয়েছে মেহেরপুর। সবজি ফসল গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিশেষ অবদানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে পুরস্কার দেওয়া হয়।

প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও নান্দনিকতা বিবেচনায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

সাজসজ্জা, প্রদর্শিত দ্রব্যের মান, পরিমাণ ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা উপস্থাপন করে স্টলগুলোর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ও তৃতীয় হয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর (ড্যাম)।

বেসরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে গ্রিন সেভারস অ্যাসোসিয়েশন, দ্বিতীয় হয়েছে কৃষক বাংলা এগ্রো প্রোডাক্টস এবং তৃতীয় বায়োটেক মাশরুম। এছাড়াও প্যাভিলিয়ন পর্যায়ে প্রথম হয়েছে এসিআই সীড, দ্বিতীয় মেটাল এগ্রো লিমিটেড ও তৃতীয় বিআরএসি সীড অ্যান্ড এগ্রো এন্টারপ্রাইজ।

এনএইচ/আরএডি/জিকেএস