পাহাড়ি ও বাঙালি উভয় সম্প্রদায়ের বিরোধিতার মুখে রোববার জাতীয় সংসদের উঠতে যাচ্ছে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ সংশোধনী বিল। রোববারই বিলটি পাশ হওয়ার কথা রয়েছে। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আশরাফুল মকবুল স্বাক্ষরিত ১০ম জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনের কার্যসূচিতে রবিবারের (২৩ নভেম্বর) কার্যতালিকায় এই বিলটি রয়েছে।সূত্র জানায়, রোববার বিকেল ৪টায় অধিবেশনের শুরুতে ৭১ বিধিতে আলোচনা রয়েছে। এরপর শুরু হবে আইন প্রণয়ন কার্যাবলী। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং তিনটি বিল পৃথকভাবে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৮৯ সংশোধনী বিল ২০১৪ সংসদে উত্থাপন ও পাশ করার জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি আহবান জানাবেন।চলতি বছরের ১০ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা অন্তর্বর্তীকালীন জেলা পরিষদগুলোর চেয়ারম্যান ও সদস্যসহ ৫ জনের স্থলে ১১ জন করার অনুমোদন দেন। পরে একই বছরের জুন মাসে এটি জাতীয় সংসদের উত্থাপন করা হয় এবং স্পিকার সেটি যাচাই-বাছাই করার জন্য স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করেন। গত ১৭ নভেম্বর রাতে কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মুকতাদির চৌধুরী তিনটি বিলই সংশোধিত আকারে পাশের প্রস্তাব করে রিপোর্ট উত্থাপন করেন।বিলগুলো হচ্ছে, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিলে ১৪ সদস্যের পরিষদে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থেকে চেয়ারম্যান ছাড়া বাকি ১৩ সদস্যের মধ্যে চাকমা ৩ জন, মারমা ৩ জন, ত্রিপুরা ৩ জন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বাইরে (বাঙালি) ৩ জন ও একজন মনোনীত মহিলা সদস্য।রাঙামটি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন)বিলে ১৪ সদস্যের পরিষদে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থেকে চেয়ারম্যান ছাড়া অবশিষ্ট ১৩ সদস্যের মধ্যে ৪ জন চাকমা, ২ জন মারমা, খেয়াং, লুসাই ও পাংখোয়া ১ জন, ত্রিপুরা ১ জন, ১ জন তঞ্চঙ্গ্যা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বাইরে থেকে ৩ জন (বাঙালি) ও ১ জন মনোনীত (বাঙালি) মহিলা সদস্য।বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) বিলে ১৪ সদস্যের মধ্যে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থেকে চেয়ারম্যান ছাড়া বাকি ১৩ সদস্যের মধ্যে মারমা ৩ জন, তঞ্চঙ্গ্যা, চাকমা, মরং, ত্রিপুরা, চাক, খিয়াং, খুমি, বম, লুসাই, পাংখোয়া ১ জন করে এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বাইরে (বাঙালি) একজন নারী সদস্য রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
Advertisement