আন্তর্জাতিক

যুদ্ধের জেরে লাফিয়ে বাড়ছে তেলের দাম

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম আবারও বাড়লো। ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনের শুরু থেকেই তেলের দাম বাড়ছে। কোনো পদক্ষেপেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না এটির দাম। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

Advertisement

আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের এক ব্যারেল তেলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৩ ডলারে। যা গত সাত বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে আন্তর্জাতিক এনার্জি এজেন্সি ছয় কোটি ব্যারেল তেল বাজারে ছাড়াতে রাজি হয়। জরুরি মজুত থেকে এসব তেল ছাড়ার কথা। এর মধ্যে ফের তেলের দাম বাড়ার খবর এলো।

জানা গেছে, সৌদি আরবের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্ববাজারে তেলের দামের লাগাম টানা যাবে না বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিশ্বব্যাপী ১০ ভাগ তেলের মধ্যে এক ভাগই আসে রাশিয়া থেকে। সুতরাং বিশ্বের তেলের বাজারে সবচেয়ে বড় খেলোয়াড় বলা যায় মস্কোকেই। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সংকট বাড়তে থাকলে তা নিঃসন্দেহে পেট্রল পাম্পের গ্রাহকদের ওপর বড় প্রভাব ফেলবে।

Advertisement

এদিকে ইউক্রেন আক্রমণ ও তার জেরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা টের পেতে শুরু করেছে রাশিয়া। বৈশ্বিক ব্যাংকিং পেমেন্ট সিস্টেম সুইফট থেকে বাদ পড়ার পরপরই দেশটির মুদ্রা রুবলের রেকর্ড দরপতন হয়েছে। সেই ধাক্কা সামলাতে সুদের হার দ্বিগুণেরও বেশি বাড়াতে বাধ্য হয়েছে রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রুশ সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই মস্কোর ওপর নেমে আসতে থাকে একের পর এক নিষেধাজ্ঞার খড়্গ। তবে এখন পর্যন্ত এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি এসেছে সম্ভবত গত রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি)। এদিন রাশিয়ার প্রধান কয়েকটি ব্যাংককে সুইফট গ্লোবাল ব্যাংক পেমেন্ট সিস্টেম থেকে বাদ দেওয়ার ঘোষণা দেয় পশ্চিমা দেশগুলো।

এর পরদিনই (সোমবার) রুবলের ব্যাপক দরপতন ঘটে। এদিন মার্কিন ডলারের বিপরীতে একপর্যায়ে এর দর নেমে গিয়েছিল ১১৯ রুবলে। অবশ্য ইউক্রেন আক্রমণের দিন থেকেই রুবলের দরপতন শুরু হয়েছিল বলা যায়। গত শুক্রবার মার্কিন ডলারের বিপরীতে এর দর ৮৪ থেকে একলাফে ১০৫ দশমিক ২৭-এ নেমে গিয়েছিল।

অর্থনীতির ওপর এই চাপ ঠেকাতে সুদের হার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা জানিয়েছে, রুবলের দরপতন ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি মোকাবিলায় সুদের হার সাড়ে ৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে।

Advertisement

এমএসএম/জেআইএম