ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল শহর খারকিভে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১১২ জন। ওই শহরের মেয়র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর বিবিসির।
Advertisement
মঙ্গলবার রাতভর খারকিভে বোমা হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তবে ইউক্রেন এখনও শহরের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
খারকিভের গভর্নর জানিয়েছে, টানা হামলার পরেও রাশিয়াকে প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে এবং শহরের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতেই রয়েছে। গভর্নর ওলেহ সিনেগুবোভ বলেন, শত্রুরা ভয়াবহত ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। টানা সাতদিন ধরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে হামলা অব্যাহত রয়েছে। আবাসিক ভবন ও বেসামরিক লোকদের টার্গেট করে হামলা চালানো হচ্ছে।
Advertisement
এর আগে, ইউক্রেনের একটি টেলিভিশন টাওয়ারে হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে অন্তত ৫ জন নিহত হন। মঙ্গলবার (১ মার্চ) বিকেলে এক বিবৃতিতে রুশ কর্মকর্তারা বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিভাগের প্রযুক্তি কেন্দ্র ও প্রধান সাই-অপ সেন্টার টার্গেট করে হামলা চালানো হবে। এসব স্থাপনার কাছাকাছি এলাকা থেকে বেসামরিক লোকজনকে দ্রুত সরে যেতে বলা হচ্ছে। এরপর ওই হামলা চালানো হয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে ১৩৬ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জন শিশুও রয়েছে। হামলায় আহত হয়েছে আরও চারশো বেসামরিক লোক।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক অফিসের মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল এক ব্রিফিংয়ে বলেন, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে। এ ছাড়া তিনি আরও জানান, পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে এ পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা ২৫৩। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ৭০ লাখ ইউক্রেনীয় বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
টিটিএন/জেআইএম
Advertisement