ইউক্রেনে হামলার কারণে একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় পড়ছে রাশিয়া। বিভিন্ন দেশ ও বড় বড় কোম্পানি রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিশ্চিত করেছেন, রাশিয়ার কোন বিমান যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না।
Advertisement
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ তাদের আকাশসীমা রাশিয়ার জন্য বন্ধ করে দেওয়া পর এবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকেও এ ধরণের পদক্ষেপ এলো।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা রাশিয়াকে আরো বিচ্ছিন্ন করে দেবে এবং তাদের অর্থনীতির উপর চাপ তৈরি করবে। যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমা ব্যবহারে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন বাইডেন।
রাশিয়ার মুদ্রা রুবল ৩০ শতাংশ এবং স্টক মার্কেট ৪০ শতাংশ মূল্য হারিয়েছে বলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন উল্লেখ করেছেন। ইউক্রেনের জনগণ যেভাবে ইস্পাত কঠিন মনোভাব নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করছে সেখান থেকে আমেরিকার জনগণকে অনুপ্রেরণা নেওয়ার আহবান জানান তিনি।
Advertisement
বাইডেন বলেন, পুতিন হয়তো ট্যাংক দিয়ে কিয়েভ শহর ঘিরে রাখতে পারে কিন্তু তারা কখনোই ইউক্রেনের জনগণের হৃদয় অর্জন করতে পারবে না।
এর আগে সদস্য দেশগুলো রাশিয়ার বিমান চলাচলে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা এনেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের। যুক্তরাজ্য, বুলগেরিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভেনিয়া, লাটভিয়া, লিথুনিয়া এবং এস্তোনিয়াও রাশিয়ার জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ রেখেছে। পোল্যান্ড এবং চেক রিপাবলিকও জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার সঙ্গে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা এনেছে।
জাপান এয়ারলাইন্সও মস্কোর সঙ্গে তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে। বেলারুশও আকাশসীমা আংশিক বন্ধ করেছে। এর আগে জার্মানির লুফথানসা এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, তারা রাশিয়ায় তাদের বিমানের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে।
টিটিএন/এমএস
Advertisement