পৌর নির্বাচনী আমেজ কাটতে না কাটতেই কয়রা উপজেলার ৭ ইউনিয়নে শুরু হয়েছে আসন্ন ইউপি নির্বাচন নিয়ে আলোচনা। আগামী মার্চের মধ্যেই ইউপি নির্বাচন সম্পন্নের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। মূলত এরই সূত্র ধরে শুরু হয়েছে নির্বাচনী আলোচনা সমালোচনা। কয়রা সদর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত এ আলোচনা সর্বত্রই। বাজারের চায়ের স্টল, হাট, ঘাট, মাঠ সর্বত্রই চলছে নির্বচনী আলোচনা। মোট কথা ৩ জন থেকে ৫ জন ভোটার একত্রিত হলেই শুরু হয়ে যায় নির্বাচনী আলোচনা। কয়রার বিভিন্ন ইউনিয়নের সর্বসাধারণের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সবকটি ইউনিয়নের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে অনেকটাই দৃশ্যমান। প্রার্থীরা এখন মৃত ব্যক্তির জানাজা, বিয়ের আসরে, সামাজিক বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে, এলাকার খেলাধুলার অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক কর্মতৎপরতার মাধ্যমে জনগণের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করছেন। সর্বপরি ঊর্ধ্বতন নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে নিজের পক্ষে দলীয় নমিনেশন নেয়ার আকাঙ্খায় ব্যস্ত রয়েছেন।নির্বাচনের জন্য ইতোমদ্যে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন উপজেলার ১নং আমাদী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ আমীর আলী গাইন। এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে মাদক নিয়ন্ত্রণ, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা, দলীয় কর্মকাণ্ডে গুরুত্বসহ জনগণের সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে ইউনিয়নটিকে উপজেলার একমাত্র মডেল ইউনিয়নে উন্নীত করেছেন। এদিকে খুলনা প্রবাসী বিএনপি নেতা আব্দুল আহাদ খোকন, সাবেক চেয়ারম্যান শাহ মো. ইবাদাৎ হোসেন, জেলা যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট কমলেশ কুমার সানা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি সদস্য মো. আঃ রশিদ, বিএনপি নেতা অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন।কয়রা সদরে প্রচারণা শুরু করেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এস এম শফিকুল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান (একটানা ৩ বার নির্বাচিত) বিএনপি নেতা এইচএম শাহাবুদ্দীন, আওয়ামী লীগ নেতা ঢালী আমিরুল ইসলাম, জামায়াত নেতা ইঞ্জিনিয়ার আঃ রউফ, আওয়ামী লীগ নেতা এসএম জিয়াদ আলী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মতিউর রহমান। মহারাজপুর ইউনিয়নে জনসংযোগ করছেন উপজেলা যুবলীগ নেতা ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্যাহ আল-মামুন লাভলু তরুন। এছাড়া বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান মাস্টার ছদর উদ্দীন, বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান বেল্টু, এসএম মনিরুল ইসলাম, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য জহুরুল হক বাচ্চু, জাতীয় পার্টি (এরশাদ) নেতা মাস্টার আবুল কালাম।বাগালী ইউনিয়নে এখনো পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জামায়াত নেতা প্রফেসর অলিউল্যাহ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সামাদ গাজী, আওয়ামী লীগ নেতা আঃ সাত্তার পাড়, বিএনপি নেতা আঃ রহিম সানা, আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম জন সমর্থন আদায়ে মাঠে রয়েছেন।মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় কুমার সরদার, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম, নিতাই চন্দ্র মন্ডল, জাতীয়পার্টি নেতা ইছাক আলী, সাংবাদিক আইয়ুব আলী, আ.লীগ নেতা ইব্রাহিম হোসেন।উত্তরবেদকাশী ইউনিয়নে জনগণের দোরগোড়ায় যাতায়াত শুরু করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান।দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন প্রবীণ আ.লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান কবি শামছুর রহমান, তার পাশাপাশি অবস্থান করছেন সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মঞ্জুর আলম নান্নু। আলমগীর হান্নান/এমএএস/আরআইপি
Advertisement