করোনা মহামারির বিরূপ পরিস্থিতি কাটিয়ে প্রায় দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরেছে প্রাথমিক স্তরের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২ মার্চ) সারাদেশে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়েছে।
Advertisement
তবে সংক্রমণ পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসায় এখনই খুলছে না প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়। চলমান করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। এক্ষেত্রে আরও অন্তত দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল হক।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুননাহার লিপি বলেন, আমরা সকাল ৯টার মধ্যে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছি। শিক্ষকরা সবাই আছেন। সকাল সোয়া ৯টায় ক্লাস শুরু হয়েছে। প্রথম শিফটের ক্লাস শেষ হবে দুপুর ১২টায়। আর দ্বিতীয় শিফট দুপুর সোয়া ১২টায় শুরু হয়ে চলবে সোয়া ৪টা পর্যন্ত।
মিরপুর ন্যাশনাল বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইসমত আরা বলেন, আমাদের প্রথম শিফটের ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি প্রায় ৭০ শতাংশ। নিচের ক্লাসে উপস্থিতি কম। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বেশি। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ক্লাস চলবে।
Advertisement
এদিকে করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ বছর প্রাথমিকের ক্লাস চলবে ২০ রমজান পর্যন্ত। ২১ রমজান থেকে শুরু হবে ঈদুল ফিতরের ছুটি। ঈদের ছুটি শেষে আবারও যথারীতি ক্লাসে ফিরবে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।
গত রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমন্বয় সভায় ২ মার্চ শুরু হয়ে ২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিকের ক্লাস চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।
ওইদিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, ২ মার্চ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে। শিক্ষক-অভিভাবকরা এ বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হয়েছে।
Advertisement
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ওই বছরের ১৭ মার্চ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। ১৮ মাস পর গত বছর সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও এ বছরের শুরুতে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় গত ২১ জানুয়ারি আবারও স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এমএইচএম/এমকেআর/জেআইএম